আন্তর্জাতিক

আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা দশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠান মিসরের আল আজহার। হাজার বছরের এই প্রতিষ্ঠান থেকে জগদ্বিখ্যাত সব মনীষীরা দ্যুতি ছড়িয়েছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও আলো ছড়াচ্ছেন এখানে। সম্প্রতি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রায় সব বিভাগেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সেরা দশে স্থান করে নিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রকাশিত হয়েছে আল আজহারের সর্ববৃহৎ ফ্যাকাল্টি ‘শরিয়া অ্যান্ড ল’ এর রেজাল্ট। এখানে সামগ্রিকভাবে সেরা দশে স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের আহমাদুল্লাহ আল জামি। তিনি ৯০ শতাংশ গড় নিয়ে সামগ্রিক মেধা তালিকায় ষষ্ঠ হয়েছেন।বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যার অবস্থান চার। তার পাশাপাশি এই ফ্যাকাল্টিতে বাংলাদেশি আরো চার শিক্ষার্থী সেরা দশে স্থান করে নিয়েছেন।

তারা হলেন, আবদুল কাইয়ুম ফারুক ৯০শতাংশ গড় নিয়ে (পঞ্চম) শুআইবুল ইসলাম ৮৮.৭৪ শতাংশ গড় নিয়ে (সপ্তম) আনাস কাজি ৮৮.৩৪শতাংশ (অষ্টম)।শরিয়া অ্যান্ড ল ফ্যাকাল্টির ডিন ‘আতা আবদুল আতি’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আহমাদুল্লাহ আল জামির ঈর্ষনীয় রেজাল্টে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ফ্যাকাল্টি আল আজহারের সর্ববৃহৎ এবং সর্বপ্রাচীন। বিশ্বের ৮৩ টি দেশের শিক্ষার্থী এখানে পড়েন। এই হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে সেরা দশে উত্তীর্ণ হওয়া খুবই কঠিন। আহমাদ সে অবিশ্বাস্য কাজটি করেছে। আমি তার বাবা-মা এবং শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানাই দীর্ঘ এই যাত্রায় তার পাশে থাকার জন্য। তাকেও অভিনন্দন জানাই।

এছাড়াও শরয়া এন্ড ল ফ্যাকাল্টির সিনিয়র প্রফেসর ড. আবদুস সালাম আতিক ড. মাহমুদ আবদুর রহমান এবং ড. তারেক আবদুল হামিদ বাংলাদেশী এই শিক্ষার্থীর ভূয়সী প্রশংসা করেন ও অভিনন্দন জানান।

ঈর্ষনীয় এই ফলাফলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আহমাদুল্লাহ আল জামি বলেন, “আমি এর জন্য মহান আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করছি। আমার সকল উস্তাদ ও বাবা মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দুআয় আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

এছাড়া ইসলামিক থিওলজি ফ্যাকাল্টিতে স্নাতক শেষ বর্ষে আদিদা ও ফিলোসফি’ বিভাগে সেরা দশে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের গোলাম রাব্বানী চৌধুরী (তৃতীয়) মুহাম্মদ জুনাইদ (ষষ্ঠ ) মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন (অষ্টম)।

তাফসির অনুষদে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন হাবিবুল হাসান নাবিল। দাওয়াহ অনুষদে সেরা দশে আসেন দুইজন। মুহাম্মদ অলিউল্লাহ (তৃতীয়) আবদুল্লাহ আল আসিফ (পঞ্চম) এছাড়া ইসলামিক স্টাডিজে নবম স্থান অধিকার করেন মুহাম্মাদ শুআইব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version