এস.এম রবি,
ঢাকার রিকশা ও রিকশা পেইন্টিং জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় বুধবার এ বৈশ্বিক স্বীকৃতি আসে।
জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর বাংলাদেশের পঞ্চম ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসাবে এ স্বীকৃতি পেল ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশা পেইন্টিং’।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এর ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসাবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।”
ইউনেস্কো বলেছে, রিকশা যেহেতু ধীরগতির বাহন, সেহেতু এর সাজসজ্জা আর অলঙ্করণ সহজেই চলতি পথের যাত্রীদের নজরে আসে। এইভাবে রিকশা পরিণত হয়েছে এক চলমান প্রদর্শনীতে। চিত্রিত এই রিকশা যেন ঢাকার নগর জীবনেরই প্রতীক। প্রদর্শনী, উৎসব, এমনকি চলচ্চিত্রেও স্থান করে নিয়েছে এই শিল্পধারা।
রিকশা আর রিকশাচিত্রকে এখন বিবেচনা করা হয় এ শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ এবং আরবান ফোক আর্টের একটি ধারা হিসেবে।
গত ছয় বছর ধরে চিত্রকর্মের এ ধরার নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে ফের নথি জমা দেওয়ার সুযোগ মিললে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
এ স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসকেও অভিনন্দন জানান