আইন-শৃঙ্খলা

উখিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা: ভুয়া সাংবাদিক আটক, পলাতক ২

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়া রেঞ্জের সদর বিটের আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন সংরক্ষিত বনভূমিতে নির্মাণাধীন একটি অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে গেলে বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। রাজধানী টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে পরিচিত নুর, মফিজ ও তাদের ক্যামেরাপার্সন রাসেলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে রাসেলকে আটক করা হলেও নুর ও মফিজ পালিয়ে যায়।

গতকাল সোমবার দুপুরে বন বিভাগের টিম অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গেলে কথিত সাংবাদিকরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু করে এবং জব্দ করা মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রাসেল সরকারি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং বন বিভাগের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে তাকে আটক করে উখিয়া বন বিভাগ।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মান্নান জানান, সংরক্ষিত বনে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণই অপরাধ। নিয়মিত অভিযানের সময় কয়েকজন ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে এসে সরকারি কাজে বাধা দেয় ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি, বাকিরা পালিয়েছে। সরকারি সম্পদ ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বন রক্ষার এই অভিযানে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে, স্থানীয় সূত্র ও সচেতন মহল জানায়, সাংবাদিক পরিচয়ে পরিচিত নুর প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা। তিনি টাকা দিয়ে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন এবং তার ন্যূনতম সাংবাদিকতার জ্ঞান নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে। নুর বিভিন্ন এলাকায় একজন ক্যামেরাপার্সনকে সাথে নিয়ে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নানা অপকর্ম করে আসছে। এছাড়া নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানিরও অভিযোগ আছে।

নুর কক্সটিভি নামে একটি ফেসবুক পেজ পরিচালনা করে, যেখানে তার কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করলে সাংবাদিকতার ন্যূনতম জ্ঞান না থাকা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারসহ নানা অপকর্মের প্রমাণ মিলবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এর আগেও নুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সোর্স পরিচয় ভাঙানো ও সাংবাদিকতার পরিচয়ে অপকর্ম করার বিষয়ে স্বীকারোক্তিও দিয়েছিল বলে জানা গেছে। সচেতন মহল জানিয়েছে, সাংবাদিকতার নামে যারা প্রতারণা ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের মতে, এ ধরনের চক্রকে কঠোর শাস্তির আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version