একাডেমিক ভবনের ছাদে একান্ত সময় কাটাতে গিয়ে অবরুদ্ধ হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা ভবনের ৫ম তলায় এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন— আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২৪-২৫ বর্ষের ছাত্রী। মাগরিবের পর প্রক্টররিয়াল টিম বিভাগদ্বয়ের শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন ওই দুই শিক্ষার্থী (প্রেমিক যুগল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা একাডেমিক ভবনের ছাদে একান্ত সময় কাটাতে যায়। পরে ৩ টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভবন সংশ্লিষ্ট ফার্মেসী বিভাগের গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকাল ৪ টার পর বের হতে গিয়ে আটকে পড়ে তারা। এসময় ভবনের একজন মহিলা স্টাফ এসে এই পরিস্থিতিতে দেখতে পেয়ে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষককে অবগত করেন। বিষয়টি সিকিউরিটি সেলকে অবগত করলে সিকিউরিটি গার্ড প্রক্টরিয়াল টিমকে অবহিত করেন। তাদের উদ্ধার করে পরে প্রক্টর কার্যালয়ে উভয় বিভাগের শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনা করেন। তখন বিভাগদ্বয়ের জিম্মায় লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ও অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব বিন শাহজাহান, কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক জাকির হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক রেহনুমা তানজিন প্রমূখ।
ভবনে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা স্টাফের দাবি, আমি প্রতিদিনের মতোই বিকাল তিনটা ৫০ মিনিটের দিকে ছাদের গেইট বন্ধ করে দেই। আজকে তালা মেরে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা ভিতর থেকে ডাকতে থাকে। পরে বিষয়টি শিক্ষককে জানাই।
আটকে পড়া যুগল
ছাত্রীর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে আটক হওয়া শিক্ষার্থী বলেন, সে (ছাত্রী) আমার প্রেমিকা হয়। আমরা একে অপরকে ভর্তি পরীক্ষার সময় থেকেই চিনি। ছাদে শুধু ফুলের বাগান দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে ধারণা ছিল না। এমন অসচেসনতায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা জানান, ‘আমরা তাদের নিয়ে যাচ্ছি। কাল সভাপতির রুমে ডেকে সমাধান করা হবে। ১১ টায় তাদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।’
উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টররা জানান, সিকিউরিটি সেল তাদের অবগত করলে উদ্ধার করে আলোচনা সাপেক্ষে বিভাগের শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিভাগ ব্যবস্থা নিবেন।