ডেস্ক নিউজ
বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফাহিমা সুলতানা মারিয়া।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহরের মসজিদ রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। রাতে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মারিয়া (২২) নোবিপ্রবির ১৬তম ব্যাচের ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই বাসায় নোবিপ্রবির ছয়জন ছাত্রী ভাড়া থাকেন। বিকেল থেকে পরিবারের সদস্যরা মারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাননি। পরে তাঁরা মারিয়ার বাবার চাচাতো ভাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ফাহাদ পাটোয়ারীকে খবর দেন। ফাহাদ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মারিয়ার লাশ দেখতে পান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিকেল চারটার দিকে মারিয়া এক বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেন। তাঁর মুঠোফোনে এমন আলামত মিলেছে।
সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, মারিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার সময় তাঁর ফোনে ভিডিও কল চালু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।