রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া সাত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন আপিলে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদের এক প্রার্থীসহ দুজনের আবেদন চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীরা আপিল করেছিলেন। তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় রাকসুতে জিএস পদে আশিকুর রহমান ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে মারুফ হাসান জেমসের প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে।’
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে সাগর আহমেদ মিয়া, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সহকারী সম্পাদক পদে শাহীন আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহকারী সম্পাদক পদে রিচার্স চাকমা এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সুজন চন্দ্র। এছাড়া সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ওমর ফারুক সাফীন আজমীর।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হিন্দু শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্রও প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন।
এর আগে গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে ৭ জন এবং বিভিন্ন হল সংসদে অন্তত ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে বিভিন্ন পদে মোট ৯২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে রাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ২০ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী শনিবার প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। রোববার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা, যার মধ্য দিয়ে প্রায় তিন যুগ পর নির্বাচনী উত্তাপ ফিরছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।