top1

‘শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না’: হাসনাত

Published

on

‎অলটাইম নিউজ ডেস্ক

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে এসে তিনি বলেন, শিক্ষকদের পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না।

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা। আজ সকাল ৮টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে সেখান থেকে সরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

শহীদ মিনারে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষকদের যেভাবে পেটানো হয়েছে, এটা কোনো সভ্য রাষ্ট্রীয় চরিত্র হতে পারে না। অবিলম্বে এই হীন কাজের জন্য তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। আর যাঁদের আপনারা গ্রেপ্তার করেছেন, তাঁদের সূর্য ডোবার আগে ছেড়ে দিতে হবে।’

হাসনাত বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ করতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাঁদের বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ করতে হবে।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবি নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আপনাদের চাওয়া তো কত কম, রিপোর্ট দেখাইতে ১ হাজার ৫০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়। বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে ১ হাজার ৫০০ টাকায় চিকিৎসা হয় না।’

হাসনাত বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমরা বানাইসি দেশের স্বাস্থ্য সংস্কার করার জন্য। কিন্তু উনি যখন অসুস্থ হন, উনি চিকিৎসা নিতে যান সিঙ্গাপুর। এর থেকে লজ্জার কী আছে?’

আন্দোলনরতদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘প্রিয় শিক্ষকসমাজ, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনাদের দাবি করা বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা এই মোনাফেক অন্তর্বর্তী সরকার মেনে নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা রাজপথ ছাড়বেন না। এটা রাষ্ট্রের কাছে কোনো ভিক্ষা নয়, এটা রাষ্ট্রের কাছে আপনাদের অধিকার।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গোছানোর কাজ করে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, এ সরকারও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন-ভাতার জন্য দাঁড়াতে গেলেই শুনতে হয় সরকারের কাছে টাকা নেই। আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের ট্রেনিং থেকে শুরু করে বেতান-ভাতার ব্যাপারে চরম উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে।’

সামান্তা শিক্ষা উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা নিয়োগের পরে আমরা মনে করেছিলাম, তিনি যেহেতু নিজেই শিক্ষক, তাহলে শিক্ষকদের মর্যাদা বুঝবেন। কিন্তু তিনি কাউকে সময় দিতে চান না। গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত হওয়া সরকারের উপদেষ্টাদের উচিত ছিল সবার জন্য এভেইলেবল থাকা। কিন্তু আমরা সেটা দেখিনি। তাঁরা নিজেদেরকে খুব বড় কিছু মনে করেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version