সাম্প্রতিক সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০২৫ অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন এসেছে। এই সিদ্ধান্ত ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
মূল পরিবর্তনসমূহ:
এই পরিবর্তনে পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আদালত কর্তৃক যেসব ব্যক্তি পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পলাতক বলতে বোঝানো হয়েছে: আদালত যখন হাজিরার নির্দেশ দেয়, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার পরও কেউ অনুপস্থিত থাকেন এবং আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করে।
প্রার্থীর হলফনামা ও সম্পত্তির বিবরণ
প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
এই তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
জামানত ও ‘না’ ভোট
প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভোটার চাইলে সেই প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন।
জোটভুক্ত প্রার্থীদের প্রতীক
জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী ও নির্বাচনি কর্মকর্তাদের পোস্টাল ভোট
প্রবাসী বাংলাদেশি, কারা হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে।
অনিয়মে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা
নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে।
এই সংশোধনীগুলো নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।