কুষ্টিয়া ভেড়ামারার অসহায় কয়েকটি পরিবারের আর্তনাদ

বাংলা অলটাইম নিউজ ডেস্ক , স্টাফ রিপোর্টার-ভেড়ামারা প্রতিনিধি ওমর ফারুক : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মালেকায়ে
আলেয়া’র আবির্ভাব। মিথ্য প্রতারণা মূলক মামলায় সর্বশান্ত একের পর এক পরিবার।
সব মামলার একই ফরিয়াদ সাক্ষীও অভিন্ন, ভিটে মাটি হারা সহায় সম্বলহীন ও বিনা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হতভাগ্যদের জন্য এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদাশয়

ইউএনও মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন….

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মাধবপুর গ্রামে ফাতেমা আক্তার মিতু নামে এক সুদখোর ও প্রতারক এবং মামলাবাজ নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে তার কুখ্যাতি ও পোষ্য সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীর কারনে সে মালেকায়ে আলেয়ার মত ক্ষমতাশালী নারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তার কাছ থেকে কেউ টাকা ধার নিলে সে টাকা যেন কোনদিনই শোধ হয়না। গৃহীত টাকার ৫/১০ গুণ টাকা বেশি শোধ করলেও তার কাছে মর্টগেজ রাখা চেক ফেরত না দিয়ে ব্যাংক চেক পুঁজি করে কোর্টে করে থাকেন মামলা। অনুসন্ধানে মামলা গুলোর কাগজ পত্র দেখে বোঝা যায়, সব মামলার বাদী মিতু এবং সাক্ষী তার স্বামী মকলেচ, রাকিবুল ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার। প্রতিটি মামলার ঘটনায় বর্ণিত ঘটনা একইরুপ। যেমন মিতুর স্বামী মকলেচ কুয়েত যাবে সেজন্য বিবাদীদের প্রত্যেককে আদম ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলা। শিল্পী খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী যিনি ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মিতুর কাছে জামানত রাখা ব্যাংক চেক ফেরত চাইলে নানা উসিলায় ফেরত না দিয়ে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লিখে মামলা করেন কোর্টে। ২০ বছর ধরে এভাবেই ব্লাঙ্ক চেক ব্যবহার করে শত শত মামলা কোর্ট পর্যন্ত নিয়েছেন মালেকায়ে আলেয়া ফাতেমা আক্তার মিতু। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে ৬ মাস পর ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পরিশোধ করে ব্লাঙ্ক চেক প্রতারণার শিকার হয়ে সাজা প্রাপ্ত হয়ে জেলের ঘানি টানছেন ষাটোর্ধ তহুরা খাতুন স্বামী মৃত ওসমান মন্ডল সাং-মাধবপুর মন্ডল পাড়া, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া।

এরকম ভুক্তভোগী জনগণের অশ্রু জল ঐ এলাকার ভূমিকে ভিজিয়ে দিলেও এখন পর্যন্ত অবৈধ সুদ ব্যবসায়ী মিথ্যা ও ভয়ংকর প্রতারকের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি কেউ। এলাকায় তার অবৈধ সুদের ব্যবসার বর্তমান মুলধন মামলা, শালিস জরিপ ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত মতে কোটি কোটি টাকা। এই ব্যাক্তির ব্যাংক হিসাবে জমা টাকা স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ও সম্পত্তির পরিসংখ্যান তদন্ত হলে বের হয়ে আসতে পারে সকল দূর্নীতি ও প্রতারনার তথ্য।

মালেকায়ে আলেয়া বনে যাওয়া ফাতেমা আক্তার মিতু ভেড়ামারার শ্রেষ্ঠতম সুদ কারবারি ও প্রতিপত্তির মালকিন। শত শত প্রতারিত ও নির্যাতিত মানুষের অশ্রু জল মোছানোর জন্য এই প্রতিবেদক ভেড়ামারা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার জনাব সোহেল মারুফ এর সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করার বিকল্প অন্য কিছু ভাবতে পারেন নি।

” ইউ এনও মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন “
♦ ওমর ফারুক : ভেড়ামারা প্রতিনিধি ♦