হিলিতে ফের অস্থির পেঁয়াজের বাজার

দেশে আমদানি বন্ধ থাকায় গত দুই মাসের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০-১৩০ টাকা। ফলে বর্তমানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের হাট-বাজারে ভারত থেকে চোরাইপথে আসা পেঁয়াজ মানভেদে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়।

জানাগেছে, স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে দাম কেজিতে কমে বিক্রি হচ্ছিল ১৩০-১৪০ টাকায়। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে আবারও বেড়ে ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। এদিকে পাতাসহ দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা এবং পাতা ছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আজ সোমবার এসব হাট-বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ি সেলিম উদ্দীন জানান, গত সেপ্টেম্বর বা তার আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার নিচে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে ভারতীয় সহ দেশিয় পেঁয়াজের দাম।

হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন হাট-বাজারে ভারত থেকে চোরাইপথে আসা পেঁয়াজ ১৮০-২০০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বাজারে দাম কেজিতে কমে ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। গত শুক্রবার থেকে আবারও দাম বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে নতুন করে ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এছাড়া পাতাসহ দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা এবং পাতা ছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, ১০/১৫দিন ধরে ভারত থেকে পাঁচবিবি’র চেঁচড়া এবং বিরামপুরের কাটলা সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে পেঁয়াজ আসছে। এরফলে হিলিসহ স্থানীয় হাট-বাজারে দাম কিছুটা কমে গিয়েছিল।

কিন্তু ২/৩দিন থেকে কম পরিমাণে আসায় বাজারে আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শাহিন হোসেন, মোবারক আলী, নঈম হোসেন জানান, মিয়ানমার সহ অন্যান্য দেশের পেঁয়াজ বাজারে পাই না। এতে করে ভারতীয় ও দেশিয় পেঁয়াজের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপই ফলপ্রসু হচ্ছে না। একারণে বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।