কুষ্টিয়ার শীর্ষ মাদক সম্রাট ও একাধিক মাদক মামলার আসামী পুলিশের বিশেষ টীমের কাছে মাদকসহ আটক

কুষ্টিয়া সদর থানার বিশেষ টীমের চৌকশ অভিযানিক দল, মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ নেশাজাত দ্রব্য ১০০ (একশত) পিচ টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ শীর্ষ মাদক সম্রাট ও একাধিক মাদক মামলার আসামী জাহিদুল ইসলাম ওরোফে টাপেন্টা+ইয়াবা জাহিদকে গত ১১/০৩/২০২৩ ইং তারিখ শুক্রবার রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া সদর থানাধীন বারখাদা ত্রিমোহনী মোড়স্থ পাকা রাস্তার উপর হতে গ্রেফতার করেন।

জাহিদ কুষ্টিয়া জেলার, মিরপুর থানা/ উপজেলার মশান (বলিদাপাড়া) গ্রামের সাদ আহম্মেদের ছেলে। জাহিদ অত্র কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর, পোড়াদহ,দৌলতপুর, আলমডাঙ্গা, কুষ্টিয়া শহর সহ বিভিন্ন এলাকাতে এজেন্ট নিয়োগ করে টাপেন্টা ও ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন ।

জাহিদ যশোর-বেনাপোল হতে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশে মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও কক্সবাজার-টেকনাফ থেকে ইয়াবা আমদানী করে থাকেন। জাহিদের এলাকার সু-শীল সমাজ,সাধারন জনগন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাহিদকে মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করলে, তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি ও প্রাণ নাশের ভয় দেখাই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহিদের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

যার মামলার নম্বর হলো কুষ্টিয়া  সদর থানার – জিআর-২২,ধারা ২০১৮ সালের মাদক আইনের ৩৬(১) সারনির ২৯(ক), মিরপুর থানার জি আর-এফআই আর- (৯/১৮৫)-১১-ই- আগস্ট, ২০২১, সহ আরো।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের নির্দেশ অনুযায়ী, কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ওসি তদন্ত জহির হোসেনের সঠিক ও সার্বিক পরিচালনায় এসআই নজরুলের নেতৃত্বে,এএসআই আসাদ,এএসআই শাহীন,কন্সটেবল সেলিম,শরিফ,চৌকশ অভিযানিক দল,এই শীর্ষ মাদক সম্রাট, টাপেন্টাডল ও ইয়াবা জাহিদকে ধৃত করেন।

জাহিদের কাছে নিষিদ্ধ মাদক নেশাজাত টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ১০০(একশত) পিচ, যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০(ত্রিশ) হাজার টাকা ও মাদক বিক্রীয় ৩২,৯২০/= (বত্রিশ হাজার নয় শত বিশ) টাকা জব্দ করেন।
মাদক সম্রাট জাহিদ কুষ্টিয়া সদর থানার বিশেষ অভিযানিক চৌকশ টীমের হাতে ধৃত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে তার নিজ এলাকা সহ কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী কথিত টাপেন্টার জিরোপয়েন্টে খ্যাত; (যেখানে সন্ধ্যার পর টাপেন্টার হাট নামে বর্তমানে পরিচিত-তথ্য মতে) খবর নিয়ে জানা যায়, জাহিদের শেল্টারদাতা হিসেবে বেশ কিছু রাঘোব বোয়াল আছে। এই শেল্টারদাতাদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন স্থানীয় সাধারণ জনগন।

এই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী টাপেন্টা+ইয়াবা জাহিদের ব্যবসার মূল শিকড় তদন্ত করে বের করে আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যেন সে আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে। এক মাদক জাহিদের জন্য যেন আমাদের সমাজের যুব সমাজ ধংস না হয় ।