দৌলতপুরে মক্কা ক্লিনিকে সেবার নামে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড

কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের ভাগজোত বাজার এলাকায় মোঃ জাহিদ হাসান এর আল মক্কা ক্লিনিকে চলছে ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে অনৈতিক কর্মকান্ড।

 

গত মে মাসের ১০ তারিখে আল মক্কা ক্লিনিকের মালিক, মোঃ জাহিদ হাসান তার নিজ স্ত্রীকে বাথ রুমে আটকিয়ে নারকীয় অত্যাচার চালায় এর ফলে স্ত্রী মোছা: শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সাংবাদিক শাহীন আলম ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করতে গেলে শাহীন সহ সাংবাদিকদের তার নিজ অফিসে ডেকে নিয়ে হত্যার করার হুমকি ধামকি ও লাঞ্ছিত করার একপর্যায়ে এলাকার সাধারণ জনগণ সাংবাদিকদের উধ্যার করেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো শাহনাজের সঙ্গে জাহিদের দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনে তারা দুই সন্তানের জনক-জননী। জাহিদের বাসা এবং ক্লিনিক এক সাথে হওয়ায় ক্লিনিকের নার্সদের সঙ্গে গভীর রাত্রে অনৈতিক কর্মকান্ড জেনে যাবার ভয়ে মাঝে মধ্যে তার স্ত্রীকে বেডরুমের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা লক করে রাখতেন।

এরপর গভীর রাত্রী থেকে নার্স দের সঙ্গে ভোর রাত পর্যন্ত লিপ্ত থাকতেন অনৈতিক কর্মকান্ডে । এভাবেই চলতে থাকে ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ।

এদিকে গত ৪ই মে জাহিদের স্ত্রী তার নিজ চোখে নার্সদের সঙ্গে একই বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে, প্রতিবাদ করায় , জাহিদ তার স্ত্রী কে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এদিকে ঘটনাটি সাংবাদিক শাহীন আলম জানতে পারলে তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে জাহিদ সাংবাদিককে হত্যার হুমকির পাশাপাশি লাঞ্ছিত করেন । সাংবাদিক শাহীন গত ১০ ই মে ঘটনার তথ্য মূলে নিউজ করে।

নিউজ করার কারণে লম্পট জাহিদ দৌলতপুর থানায় মূলধারার সাংবাদিক শাহীন এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাঁদা বাজির অভিযোগ দায়ের করে ।

ঘটনাটির রাতে জাহিদের স্ত্রী সন্তানদের কথা চিন্তা করে বাসায় ফিরে আসলে জাহিদের মা ভাবি ও পরিবারের লোকজন মিলে শাহানাজকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
শারীরিক নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় শাহানাজ শারিরীক নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়।
এদিকে রাত আনুমানিক রাত ৩ টার সময় জাহিদ ও তার সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিক শাহীনের বাড়ির উপর গিয়ে লাঞ্ছিত করতে থাকে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। সাংবাদিক শাহিনের বাসা থেকে জাহিদ তার নিজ বাসায় এসে স্ত্রী শাহানাজকে শারীরিক নির্যাতন করে বাথরুমের মধ্যে বন্দী করে রাখে ।

ঘটনাটি স্থানীয় জনগণ লম্পট জাহিদকে থামাতে না পেরে ৯৯৯ ফোন দেয়। জাতীয় ডিজিটাল তথ্যসেবা সেবা মাধ্যম ৯৯৯ অভিযোগ পেলে পুলিশ এসে আনুমানিক সকাল ০৭ টার দিকে জাহিদের বাসা থেকে শাহানজকে উদ্ধার করে।