কুষ্টিয়া সদর থানাধীন কুমারগাড়া এলাকায় গত ৬ই মে ২০২৩ ইং তারিখ সকাল দশ ঘটিকার সময় ভূয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাইকারীদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। তথ্য নিয়ে যানা – যায় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালিকে বসবাসকারি আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র- জিল্লুর রহমানকে কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকার কুমারগাড়া ফকিরপাড়া পাকা রাস্তার উপর আটকিয়ে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে-নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।

সাধারণ জনগন বুঝে উঠার আগেই প্রান রক্ষার্থে জিল্লুরের কাছে থাকা নগদ ৫৫,০০০ টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারী ছিনতাইকারীরা । ঘটনা স্থল থেকে ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পরে জিল্লুর রহমানের মনে সন্দেহ হলে তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানাতে গিয়ে ডিউটিরত অফিসারের সাথে আলোচনা করলে , ডিউটি অফিসার ঘটনার বিস্তারিত শোনার পরে ঘটনার বর্ণনা উল্লেখ করে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করতে বলেন । পরবর্তীতে জিল্লুর রহমান থানায় বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুয়া পুলিশ’ পরিচয়দিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগটি কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার খায়রুল আলমের নজরে আসলে কুষ্টিয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেনকে সর্বোচ্চ নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর,কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন একটি চৌকশ টীম গঠন করেন। গঠিত টিম তদন্তে নেমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে, কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন কুমারগাড়া ফকিরপাড়াস্থ জনৈক জলিল মুহুরীর বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হইতে পাবনা জেলার সদর থানা পর্যন্ত শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ছিনতাইকারীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তদন্তে ব্যবহারিত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাই কাজে জড়িত আসামীদের অবস্থান সনাক্তপূর্বক আলামতসহ আসামীদের আটক করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার চৌকস অভিযানিক টিম ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের পরিচয় হলো জীবন-(৩০), পিতা- আব্দুল কুদ্দুস, সাং-শালগাড়ীয়া, থানা ও জেলা-পাবনা, ও গোলাম রায়হান ( রবিন (৩২), পিতা-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম হায়দার, সাং-শিবরামপুর, থানা ও জেলা-পাবনা ।
আটককৃত ছিনতাইকারীদের নিজ হেফাজত হইতে ১টি কালো বাটযুক্ত ধারালো চাকু ও ছিনতাইকৃত ১৬,০০০/- টাকা, ছিনতাই করাকালে আসামীর পরিহিত একটি সাদা-কালো রংয়ের হাফহাতা গেঞ্জি,যাহা আসামীর নিজ বাড়ী হইতে উদ্ধার করা হয় । অপর ছিনতাইকারীর হেফাজত হইতে উদ্ধার করা হয়-ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিসি টিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া -নীল রংয়ের ১টি এ্যাপাচি আর-টি-আর মোটর সাইকেল ও ছিনতাইকৃত ১১,৫০০/-টাকা, ছিনতাই করাকালে আসামীর পরিহিত একটি নীল ও কমলা রংয়ের হাফহাতা গেঞ্জি।
ছিনতাইয়ের অভিযোগে গঠিত তদন্ত টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত – জহুরুল ইসলাম, এসআই সুফল সরকার,এস আই সাজু মোহন সাহা সহ সঙ্গীয় ফোর্স । গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানাতে ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করা হয়েছে ।
উল্লেখিত অভিযান সম্পর্কে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি নজরে আসার সাথে সাথে-কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম স্যার ও সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল স্যারের সঠিক দিক নির্দেশনা,সার্বিক তত্বাবধানে ও তথ্য প্রযুক্তি সাহায্যে পুলিশ পরিদর্শক-তদন্ত- জহুরুল ইসলামসহ সঙ্গীয় অফিসারদের অক্লান্ত পারিশ্রমে এ ক্লুলেস মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও ছিনতাইকারীদের ছিনতাইকৃত টাকা ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চাকু ও আরটিআর মোটরসাইকেল আটক করা সম্ভব হয়েছে।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম স্যারের নির্দেশ রয়েছে-কুষ্টিয়া জেলাতে কোন ধরনের অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা । অপরাধী যে-ই-হোকনা কেনো-কোনো ছাড় নেই, তথ্য পেলে তদন্ত করে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।