কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পান্টি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওবায়দুল শেখ ইমন (১৯) এর ছুরির আঘাতে নিজের সহপাঠী তানজিল শেখ (১৮) নিহত হয়েছেন ।
২০ই মে শনিবার বেলা তিন ঘটিকায় পান্টি স্কুল মাঠে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হয়েছেন পান্টি ইউনিয়ন এর ওয়াসি গ্রামের মনিরুল শেখের ছেলে তানজিল শেখ (১৮)। সে পান্টি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেলা তিন ঘটিকার দিকে পান্টি স্কুল মাঠে তানজিল ও পান্টি গ্রামের মিলনের ছেলে ইমনের মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তার এক পর্যায়ে তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে ।
এমন সময় ইমনের নিজ প্যান্টের পকেটে থাকা সেভেন গিয়ার ড্যাগার বের করে অতর্কিত ভাবে তানজিলের বুকে আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি উপস্থিত সাধারণ জনগণ তানজিলকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে সে মৃত্যুবরণ করেন ।
উক্ত ঘটনার পর থেকে ইমন ও তার পরিবারের লোকজন লাপাত্তা বলে জানা যায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে।
কুমারখালী থানার ওসি মো.মহসীন হোসাইন এর কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে কেউ সুস্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেনা । আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘাতক ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। অপরাধীকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আসামি আটকের পর প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ও তার আশেপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ।