কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় আরেক আসামি জিয়ারুল ইসলাম (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫ জুলাই, বুধবার রাতে উপজেলার গাছেরদিয়াড় গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সে মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়া গ্রামের নিয়ামত মন্ডলের ছেলে। জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল।
এনিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১১জন আসামি গ্রেফতার হলো। তবে জোড়া খুনের প্রধান আসামি লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী উজ্বল সরদার গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জোড়া খুনের আসামি জিয়ারুল ইসলাম বুধবার রাতে গোপনে হাটখোলাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় গাছেরদিয়াড় গ্রামের জনতা হাতে আটক হয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম জানান, মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়া গ্রামের জোড়া খুনের আরেক আসামি জিয়ারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিল। এনিয়ে জোড়া খুনের ১১জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি উজ্জল সরদারসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জোড়া খুনের আসামি জিয়ারুল ইসলামকে ৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়া গ্রামে গরুতে জমির পাটক্ষেত খাওয়া নিয়ে চরাঞ্চলের ত্রাস লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডে ইন কমান্ড সন্ত্রাসী উজ্জল সরদারের নেতৃত্বে ৪০-৪৫জন হামলকারী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বজলু মালিথা পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে
হামলায় গুলি ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে বজলু মালিথাগ্রুপের বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হামলায় অন্তত ১০জন আহত হয়। হত্যাকণ্ডের ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হলে প্রধান আসামি সন্ত্রাসী উজ্জল সরদার রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলও করে। এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে এখনও তীব্র ক্ষোভ, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।