কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি সহ মানববন্ধন করেছেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এর প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা। (৬ জুলাই-২৩) বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজর একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ১১ টার সময় কর্মবিরতি পালন ও মানববন্ধন করেন কর্মচারীরা।
কর্মবিরতি ও মানববন্ধনে ৫৪ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী অংশ গ্রহন করেন এবং তাদের দাবিগুলো উপস্থিত সাংবাদিকের সামনে উপস্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হল, প্রতিষ্ঠকালীন কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা, স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া অতিদ্রুত বাস্তবায়ন কার, স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে সমন্বয় করে বেতনভাতা ও অন্যান্য ভাতাসমূহ প্রদান করা, বিনা নোটিশে চাকুরি থেকে অব্যহতি প্রদান না করা, চাকুরি হতে অব্যহতি প্রদান করতে হলে কর্তৃপক্ষকে বিধি মোতাবেক চাকুরী বিধি অনুসরন করা।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজর একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ১১ টার সময় কর্মবিরতি পালন ও মানববন্ধন স্থির চিত্র।
কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালনকালে কর্মচারীরা বলেন, আমরা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ২০১১ সাল হতে- ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা বেতন থেকে ৭,৮০০/-(সাত হাজার আট শত) টাকা বেতনে চাকুরী করে আসছি। আমরা সকলে সরকারী চাকুরীর আশায় সামান্য বেতনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছি।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস হতে ২০২৩ সালের ৩০ই জুন আউটসোর্সিং সেবা পদ্ধতিতে কর্মরত ছিলাম। বর্তমানে আউটসোর্সিং পদ্ধতির চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমরা যে সকল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের কর্মচারীগন কর্মরত ছিলাম, এখন আমাদের প্রতিষ্ঠান আমাদের কোন দায় দায়িত্ব না নেওয়ার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে কর্ম বিরতিতে যাওয়ার ঐক্যমত পোষন করছি।
কর্মচারীরা আরো বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এর প্রতিষ্ঠকালীন কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে চাকুরী স্থায়ীকরণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান বাজার মূল্য সমন্বয় করে আমাদের বেতনভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার হোসেন জানান, তারা সবাই চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। তারা যে কোম্পানীর মাধ্যমে কাজ করতো ঐ কোম্পানীর সাথে চুক্তির মেয়াদ ৩০শে জুন শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কিছু করার নাই। তারপরও আমরা কর্মচারী এবং চুক্তিভিত্তিক ঐ কোম্পানীর সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি।