নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজের (৪২) বাম হাত কেটে নিয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন শাহিনের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক ঘটিকার সময় শহরতলীর জুগিয়া এলাকার ১৪নং ওয়ার্ড পাল পাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে বসে চা খাচ্ছিল,এমন অবস্থায় শাহীন কমিশনারের সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সদস্য দুধ বিক্রেতা নিজাম পূর্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি হাফিজের উপর মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়,এর এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে।অবস্থা বেগতিক দেখে যুবলীগের সেক্রেটারি যুবলীগের কার্যালয় অবস্থান করা কালে কাউন্সিলর শাহিনের সন্ত্রাসী বাহিনী সুসজ্জিত হয়ে শনিবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় শহরতলীর জুগিয়া এলাকার ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে এই হামলা করে হাফিজের মাথা, পা,হাতে ও পিঠে, এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে । আহত হাফিজ একই এলাকার মৃত বিশু প্রামানিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, শনিবার সন্ধার পর জুগিয়া পালপাড়া এলাকার ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে বসে ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি মানিক । হঠাৎ করে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাফিজের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্রদিয়ে হাফিজকে এলোপাথারী কুপিয়ে তার বাম হাত কেটে ফেলে এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত হাফিজকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
যুবলীগের কার্যালয়ে এই হামলা করে হাফিজের মাথা, পা,হাতে ও পিঠে, এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত যখম
গুরুতর আহত হাফিজের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, বেশকিছুদিন ধরে স্থানীয় ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিনের সাথে হাফিজুর রহমান হাফিজের সামজিক বিরোধ চলছিল। বিশেষ করে যুবলীগ নেতা হাফিজ ১৪নং ওয়ার্ডের নিজেকে কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে গণসংযোগ করায় শাহিন তাকে টার্গেট করে এবং এই হামলার সুত্রপাত ঘটে।
কুষ্টিয়া শহরের ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি মেহেদী হাসান মানিকের উপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিনের হুকুমে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ঝন্টু কসাই, মামুন, আশরাফুল, আমিরুলসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী জুগিয়া সব্জী ফার্মপাড়া ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং বাম হাত কেটে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাসুয়া, রামদা দিয়ে কোপ দেয়। জখম করে হাফিজকে মৃত ভেবে রাস্তার উপর ফেলে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী। হামলা শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহিনের প্রধান সহযোগি দুধ বিক্রেতা নিজামকে এলাকাবাসী গণধোলায় দেয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই সাহেব আলি হাফিজের উপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
যুবলীগনেতা হাফিজের হাত কাটার নির্দেশ দিয়ে শহরের চিহ্নিত তার সহযোগিদের সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসির রুমে হাজির হন কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মডেল থানার ওসি জানান, অভিযুক্ত কাউন্সিলর শাহিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি আমার অফিসে এসেছিলেন। তখনও আমি হাত কাটার ঘটনা জানতাম না। তবে তার সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে তা সঠিক নয়। আমার দরজা সবার জন্য খোলা। কখন কে আসছে, আর কে যাচ্ছে, তা কিভাবে জানবো।
গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা হাফিজকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, কুষ্টিয়া জেলা ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সুমন সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে দেখতে যান ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।