কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের আজমল প্রামাণিক ও আবুল কালাম নামের দুই কয়েদি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ঘন্টার ব্যাবধানে মৃত্যুবরণ করেছে । হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আজমল প্রামাণিক এবং শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আবুল কালাম মারা যায়।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আজমল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
নিহত আবুল কালাম কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় ৩ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজমল বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার ১০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আবুল কালামকে একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যায়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।
জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শাজাহান আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন আজমল। আবুল কালাম গত ২৮ জুলাই থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় ৩ মাসের সাজা পেয়ে জেলবন্দি হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া কারাগারের ২ বন্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক জানান, আজমল ও আবুল কালাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। আজমল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও আবুল কালাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় ৩ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।