দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২১৪৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ৯ জনের।
নতুন রোগীদের নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯২ হাজার ২৪ জনের। তাদের মধ্যে ৪৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এইডিস মশাবাহিত এ রোগ।
এক বছরে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে কেবল ২০১৯ সালে। আর ডেঙ্গুতে এত বেশি মৃত্যু আর কখনও দেখেনি বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৩৪ জন ঢাকার এবং ১৩১৫ জন ঢাকার বাইরের।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন ৯ হাজার ১৬৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ৪০০২ জন ঢাকায়; ৫১৬৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ভর্তি।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। অগাস্টের ১৫ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০ হাজার ১৯২ জন ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু হয়েছে ১৮৪ জনের।
এর আগে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন, জুনে ৫ ৯৫৬ জন এবং জুলাই মাসে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ২০৪ জনের মৃত্যু হয় জুলাই মাসে। এর আগে জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গুতে।
এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, মারা যান ২৮১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।