নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার বিকালে পল্টনের জামান টাওয়ারের সামনের সড়কে এক সমাবেশ থেকে তিনি এমন হুমকি দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা জোটের ‘এক দফা’ দাবি কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটি।
এতে তিনি দলের নেতা মশিউর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিএন ইয়ামিনসহ সবার মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নুর বলেন, “আগে আমি বলে ছিলাম যে থানা এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হবে- সেই থানা ঘেরাও করা হবে।
এখন আমি বলছি- মশিউর, ইয়ামিনসহ বন্দিদের মুক্তি না নিলে আমাদের পরবর্তি কর্মসূচি হবে ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন ‘যুক্তরাষ্ট্র আর পশ্চিমারা আমাকে সরিয়ে বিরোধীদের ক্ষমতায় আনতে চায়’। যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমারা নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।
“আপনি (শেখ হাসিনা) ভারতের উপর ভরসা করতে চান। ভারতের এখন লেজে গোবরে অবস্থা।“
সমাবেশে ইয়ামিনের বাবা রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ছাত্ররা ন্যায়ের পথে আন্দোলন করছে। তাদের গ্রেপ্তার করবেন না। তাদের ন্যায়ের পথে চলতে দিন।
“আমার ছেলে জেলে থাকলেও দেশের সব তরুণ আমার সন্তান। যারা আন্দোলনে আছে সবাই আমার সন্তান। এই সন্তান যতক্ষণ একজন আন্দোলনে থাকবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।”
তার মা হাসিনা বেগম বলেন, কথা বলার মতো অবস্থা নেই। তারপরও আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমার ছেলেকে মুক্তি দিন।
গ্রেপ্তার মশিউরের বাবা মজিবুর রহমান হাওলাদার এবং স্ত্রী সাদিয়া আফরিনও সমাবেশে বক্তব্য দেন।
মশিউরের স্ত্রীর অভিযোগ, “আমার স্বামীকে ইন্টারভিউয়ের কথা বলে সাংবাদিক সেজে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে বলা হয় সাঈদীর মৃত্যুর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করার অপরাধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এখন দেখছি মোদী বিরোধী আন্দোলনের সময় না কি আমার স্বামী জড়িত ছিল এই অভিযোগ আনা হয়। আমি বলছি, আমার স্বামী নির্দোষ। তাকে মুক্তি দিন।“