ঢাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এই রোগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা করে দলটির বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দেশে ডেঙ্গু ভয়ানক রূপ নেওয়ায় এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে শনিবার ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সচেতনতামূলক সভা করে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ কমিটি।
সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেওয়া কাদের বক্তৃতায় বলেন, “আজকে চার দিক থেকেই বিপদ, নানা রকম বিপদ।
“আজকে ডেঙ্গু থেকে সাবধান। ডেঙ্গুর মতো ভয়ঙ্কর বিএনপি থেকেও সাবধান। আজকে দেশের প্রধান দুই শত্রু, এক শত্রু বিএনপি, আরেক শত্রু ডেঙ্গু। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে এই শত্রু প্রতিরোধ করি।”
বিএনপি নেতাদের কথার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিদেশে ‘পাচার করা’ অর্থের চিন্তায় নাকি আমরা বিভোর! বিদেশে অর্থ পাচার কারা করেছে? সেটা ধরা পড়ে গেছে এফবিআইর সাক্ষ্যে।
“তাদের নেতা বিদেশে পালিয়ে গেছে। কথায় কথায় পলায়নের কথা বলে ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস। লজ্জা করে না? আপনাদের দলের এখন যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান, তিনি তো দণ্ডিত পলাতক। আমরা পালাব কেন? পালিয়েছেন তো আপনারা।”
কাদের বলেন, “তারেক রহমানের কেন সৎ সাহস নেই দেশে এসে আন্দোলনে করে আপনাদের এক দফার বাণী প্রচার করতে? এই কাপুরুষ, এই ভীরু, পলাতক নেতার নেতৃত্বে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন বাস্তবায়িত হয়নি, রিমোট কন্ট্রোল আন্দোলন বাংলাদেশ হয় না।”
ডেঙ্গু প্রতিরোধের এই কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, “মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হয়। আমাদের বাঁচতে হলে ডেঙ্গু বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
“শুধু রাজনীতি করলে হবে না। আজকে মানুষকে বাঁচানোর রাজনীতি সবার আগে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে অবস্থান নিয়েছে, তার সঙ্গে নয়া দিল্লি একমত নয় বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। এক কূটনৈতিক পত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূরাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই সুখকর হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারত ও আমেরিকার এই ভূখণ্ডে অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে তারা একে অন্যকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারে।”
“তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে, নির্বাচনের বিষয়ে, ভারত একবারও বলেনি যে তারা অমুককে চায়, অমুককে চায় না। আমাদের বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিএনপি তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে। কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে।”
“আমরা পাবলিকের দিকে তাকিয়ে আছি। পাবলিক ক্ষমতায় রাখলে আমরা থাকব। পাবলিক না রাখলে আমরা চলে যাব,” বলেন কাদের।
সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরও বক্তব্য রাখেন।