1. maruf.jhenaidah85@gmail.com : maruf :
  2. info@jhenaidah-protidin.com : shishir :
  3. talha@gmail.com : talha : Md Abu Talha Rasel
৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| মঙ্গলবার| সকাল ৬:০৮|
সর্বশেষ :
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৩ দিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার। ঝিনাইদহে ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সিং ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি। কুমারখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী একজন মহিলা ঘটনাস্থলে নিহত নওগাঁর মান্দায় বন্যার্তদের মাঝে সরকারি ত্রান বিতরণ। জয়বাংলা শ্লোগানে ভর দিয়ে বাংলাদেশ চলে -রুহুল কবির রিজভী কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির নবনির্বাচিতদের দায়িত্ব গ্রহণ চুয়াডাঙ্গায় গুজব প্রতিরোধে ফেসবুক গ্রুপ এ্যাডমিন মডারেটরদের সাথে মতবিনিময়। বিস্ফোরক মামলার মূল রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার-০৩জন। নওগাঁর পত্নীতলায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত। আসছে নতুন মহামারী Disease X ৫ কোটি মানুষের প্রাণ হানির আশংঙ্কা।

সমকামিতার নাটক সাজিয়ে চিরকুট

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪৩ Time View

সাভারের ভাটপাড়ায় গোলাম কিবরিয়া নামে এক শিক্ষককে হত্যার পর চিরকুট লিখে রাখার ঘটনায় রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেপ্তাররা হলেন—হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মো. ইমন খান (২৩), মো. সাগর (২২) ও মো. ছাদেক গাজী (২২)।সোমবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে র‌্যাব-৪, ৬ ও ১৩ যশোর, ঝিনাইদহ ও রংপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় লুট করা ৫ লাখ ২১ হাজার ৯৯ টাকা উদ্ধার করা হয়।টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষককে হত্যার পর সমকামীর চিরকুট লিখে নাটক সাজানো হয়।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গত ২০ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা এবং গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় গোলাম কিবরিয়া (৪৩) নামে সাবেক এক স্কুল শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় মরদেহের পাশ থেকে ‘এই ব্যক্তি সমকামী করে পুলিশ ভাই, আমরা তাই মেরে ফেলেছি, ভাই ও অবৈধ কাজ করে, আমরা ইসলামের সৈনিক’ লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সাভার থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, নিহত গোলাম কিবরিয়া সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সাবেক শিক্ষক ছিলেন। তিনি কয়েক বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন। পাশাপাশি জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন।

গত ১৯ আগস্ট রাত ১০টার দিকে তার বড় ভাই মো. গোলাম মোস্তফার ঘরে রাতের খাবার শেষে নিজ কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘটনার দিন ২০ আগস্ট বেলা ২টার দিকে কিবরিয়া ঘুম থেকে না ওঠায় তার বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি করেন। বাড়ির লোকজন ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে তার ঘরের পেছনের দরজা খোলা দেখতে পান।

এ সময় বাড়ির লোকজন রুমের ভেতর গিয়ে খাটের উপর লুঙ্গি দিয়ে নিহত শিক্ষকের হাত-পা বাঁধা ও গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় নিথর মৃতদেহ দেখতে পান। এছাড়াও নিহতের রুমের মালামাল এলোমেলো এবং আলমারি খোলা অবস্থায় ছিল।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ইমনের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। সাগর একজন অটোরিকশাচালক। তার রিকশায় নিহত শিক্ষক মাঝে মধ্যে যাতায়াত করার কারণে ২ বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে গত ৬ মাস আগে  সাগর তার বন্ধু ইমনকে শিক্ষকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিচয়ের সুবাদে ইমন ও সাগর শিক্ষক কিবরিয়ার বাসায় মাঝে মধ্যে যাওয়া আসা করতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন এবং ব্যবসার যাবতীয় টাকা বাসায় রাখতেন। সাগর ও ইমন শিক্ষকের বাসায় যাওয়া আসার সুবাদে এই টাকা তাদের নজরে আসে। পরবর্তীতে তারা শিক্ষককে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন।  ইমন তার পরিকল্পনার বিষয়টি ঘটনার ৭-৮ দিন আগে ছাদেককে জানান।  ছাদেকের বিভিন্ন জায়গায় ঋণ থাকায় তিনি এই পরিকল্পনায় সম্মতি দেন।

এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর অটোরিকশা নিয়ে শিক্ষকের বাসার আশেপাশে অবস্থান করেন। শিক্ষকের বাসায় তারা রাতের হালকা নাস্তা শেষে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে ছাদেক শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার গলা চেপে ধরেন এবং ইমন তার মুখ চেপে ধরেন।

পরবর্তীতে তারা কৌশলে শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার লুঙ্গি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ছাদেক নিজ হাতে একটি সাদা কাগজে চিরকুট লিখে মৃতদেহের পাশে রেখে দেন। ইমন নিহতের বিছানার নিচ থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল নিয়ে যান। পরবর্তীতে তারা সাগরের অটোরিকশায় করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলে আসেন।

তিনি বলেন, ইমন সাগরকে ৫০ হাজার টাকা দেন। বাকি ৬ লাখ টাকা ইমন ও  ছাদেক নিজেদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে নেন। ঘটনার পর দিন সকালে গ্রেপ্তার এড়াতে ইমন প্রথমে গাজীপুর পরে যশোরের চৌগাছা এলাকায়, সাগর রংপুরের মিঠাপুকুর, ছাদেক ঝিনাইদহে তাদের আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021