1. maruf.jhenaidah85@gmail.com : maruf :
  2. info@jhenaidah-protidin.com : shishir :
  3. talha@gmail.com : talha : Md Abu Talha Rasel
৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| মঙ্গলবার| সকাল ৭:৩৬|
সর্বশেষ :
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৩ দিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার। ঝিনাইদহে ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সিং ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি। কুমারখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী একজন মহিলা ঘটনাস্থলে নিহত নওগাঁর মান্দায় বন্যার্তদের মাঝে সরকারি ত্রান বিতরণ। জয়বাংলা শ্লোগানে ভর দিয়ে বাংলাদেশ চলে -রুহুল কবির রিজভী কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির নবনির্বাচিতদের দায়িত্ব গ্রহণ চুয়াডাঙ্গায় গুজব প্রতিরোধে ফেসবুক গ্রুপ এ্যাডমিন মডারেটরদের সাথে মতবিনিময়। বিস্ফোরক মামলার মূল রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার-০৩জন। নওগাঁর পত্নীতলায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত। আসছে নতুন মহামারী Disease X ৫ কোটি মানুষের প্রাণ হানির আশংঙ্কা।

ভারত থেকে ফিরে জি এম কাদের।

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৫ Time View

 

চার দিনের ভারত সফর শেষে ঢাকায় ফিরে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সময়মতো একটি সুন্দর নির্বাচন চায় ভারত; এবং তারা চায়, নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশে যাতে কোনো ক্রমেই সহিংসতা, অরাজকতা না হয়।’

ভারত সফর শেষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে জি এম কাদের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

২০ আগস্ট ভারত সফরে গিয়েছিলেন জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদ বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। স্ত্রী শেরিফা কাদের ও চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মশরুর মাওলা এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে ভারতের চাওয়া সম্পর্কে জি এম কাদের বলেন, ‘ওনারা একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চান বাংলাদেশে এবং সময়মতো যাতে হয়। নির্বাচনের আগে এবং পরে যাতে কোনো সহিংসতা বা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় অনিশ্চিত কিছু না হয়। এটা হলে ওনারা খুশি হবেন। কারণ, এখানে ওনাদের অনেক ধরনের বিনিয়োগ আছে।’

ভারতের প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি স্থিতিশীল থাকে এবং সার্বিকভাবে সুন্দর একটা নির্বাচনের মাধ্যমে যদি পরবর্তী সরকার গঠিত হয়, তাহলে তাদের পক্ষে কাজকর্ম করা সহজ হবে। তারা প্রত্যাশা করেন, আমরা সবাই মিলে ওই ধরনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করি, যাতে সুন্দর একটি নির্বাচন হয়। এবং নির্বাচনের আগে এবং পরে দেশে কোনো সহিংসতা, অরাজকতা না হয়, স্থিতিশীলতা কোনো ক্রমেই যাতে নষ্ট না হয়।’

নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর যে মতদ্বৈধতা, এ ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কী। এ প্রশ্নের জবাবে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, ‘ভারত বলেছে, এটা আপনাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা চাই, নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এটার সুরাহা করবেন।’

এ ক্ষেত্রে ভারতীয় কর্মকর্তারা জাতীয় পার্টিকে উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার কথাও বলেছেন বলে জানান জি এম কাদের। তাঁরা বলেছেন, যেহেতু জাতীয় পার্টির সবার কাছে একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাই সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে, সবাইকে একসঙ্গে করে, সুন্দর একটা নির্বাচন করতে পারলে তারা খুশি হবেন।

বর্তমান সংবিধান অনুসারে জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে কি না, জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, ‘এটা আমি অনেকবার বলেছি, আমাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনো সময় আসেনি। আমরা কী করব, সামনে কারও দিকে যাব কি না, এটা পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। আমরা আরও কিছুদিন জিনিসটা দেখেশুনে তারপর আমরা ঠিক করব। আর নির্বাচন বর্জন করব, এটা কিন্তু আমরা কোনো দিন বলিনি। তবে আমরা চাইব, নির্বাচনটা যাতে ভালো হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার যে চাপ, সেটি নিয়ে ভারত এক ধরনের নেগোসিয়েশন করছে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জাতীয় পার্টির চোরম্যান কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা ভারতীয়রা, আমেরিকানরা বলতে পারবে। ওনাদের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা হয়েছে, আউটসাইডার হিসেবে এটা তো আমরা পক্ষে জানাও সম্ভব না।’

নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থানের বিষয়ে ভারত কী বার্তা দিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘না, বার্তা দেয়নি। আমাদের দল আমরা চালাব, ওনাদের বার্তা দেওয়ার কিছু নেই। ওনারা বলেছেন যে একটা ভালো নির্বাচন হোক এবং সহিংসতা না হোক—নির্বাচনের আগে এবং পরে। যেন দেশটা শান্তিপূর্ণভাবে চলে। এটা আমাদের সকলের স্বার্থেই দরকার।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ সব কথা বলেছেন জিএম কাদের। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কার কার সঙ্গে সে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং কী বিষয়ে হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারবেন না।

জি এম কাদের বলেন, ‘কেননা, ওই আলাপগুলো ওইভাবেই করা হয়েছে। ওনারা যদি প্রকাশ করতে চান, করবেন। আমার পক্ষ থেকে ওনাদের পারমিশন (অনুমতি) ছাড়া কোনো কথা বলতে পারব না। এছাড়া আমি নিজের নৈতিক অবস্থান থেকেও কোনো বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বাইরে বলি না।’

তবে জি এম কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন চায় ভারত; এবং ভারত চায়, নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশে যাতে কোনো ক্রমেই সহিংসতা, অরাজকতা না হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021