গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পৌরশহরের মীরগঞ্জ হাটে একটি শপিংমল করাসহ রাস্তাঘাট সংস্কার, শাপলা চত্বরে একটি চমৎকার শাপলা ফুল স্থাপন এবং পুরো শহরে লাইটিং ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে শহরটিকে একটি দৃষ্টিনন্দন এবং আদর্শ শহর হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মেয়র আব্দুর রশিদ সরকার।
গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে শহরের মীরগঞ্জ বাজারে এক মুখোমুখি অনুষ্ঠানে ওই এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নাগরিকদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন মেয়র এবং সেগুলোর সমাধান কল্পে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার ফিরিস্তি দেন তিনি। মীরগঞ্জ হাটের আয় দিয়ে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতনসহ বেশকিছু ব্যয়ভার মেটানো হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, ইচ্ছে থাকলেও এতদিন বড় ধরণের কোনো সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় বাজারটির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি করা সম্ভব হয়নি। তবে আশার কথা হলো, দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে ইউজিএফ প্রকল্পের আওতায় ৬১টি পৌরসভায় উন্নয়নমূলক কাজ হবে, যারমধ্যে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা একটি। আপাতত প্রায় ৭০ কোটি টাকার মত বরাদ্দ পাব। তারমধ্যে ২০ কোটি টাকার কাজ খুব শিগগিরই আরম্ভ করা হবে। আর এজন্যই আজকের এই মত বিনিময় সভা।
বাজারে একটি শপিংমল করা হবে। এছাড়া করা হবে তরিতরকারি, মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য পৃথক পৃথক শেড। কাদা আর পানিতে যাতে ভোক্তাদের লুটোপুটি খেতে না হয় সেজন্য তৈরি করা হবে ছোট ছোট পথ। গুরুত্ব দেওয়া হবে মজিদ মন্ডল স্কুল থেকে কাউন্সিলর-এর বাড়ি হয়ে পূর্বমূখী রাস্তার শেষ পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর।
নাগরিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, মীরগঞ্জের শাপলা চত্বরে স্থাপন করা হবে একটি দৃষ্টিনন্দন শাপলা। থাকবে ঝরণাসহ লাইটিং ব্যবস্থা। রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থার নিরসান এবং অন্ধকার দূরীকরণে করা হবে প্রত্যেকটি রাস্তার সংস্কার ও লাগানো হবে স্ট্রীট লাইট।
ব্রীজ মোড় থেকে কর্ণিপাড়ার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বাঁধটি মাটি কেটে প্রশস্ত করার পাশাপাশি করা হবে পাকা। যাতে সকাল-বিকাল হেঁটে হেঁটে লেক ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন নাগরিকরা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সামিউল ইসলামের সঞ্চালনা এবং সুলতান আহমেদ পোস্ট মাস্টারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মুখোমুখি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলু কুমার সরকারসহ স্থানীয় নাগরিকরা ও উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা।