নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক সনজিব কুমার সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) একজন ভুক্তভোগী নারী ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলার একমাত্র আসামি সনজিব।
গ্রেফতার সনজিব ময়মনসিংহের আরকে মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সিংহের ছেলে এবং রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করেন। তিনি বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি বলেন, এক নারীর মামলায় বিটিআরসি কর্মকর্তা সনজিবকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।
সরকারি কর্মকর্তা গ্রেফতারের বিষয়টি বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে আসামির কর্মস্থল বিটিআরসিকে জানানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন সনজিব। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সনজিবের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারলে ওই নারী তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান। কিন্তু সনজিব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ওই নারীকে ধর্ষণ এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
ভুক্তভোগী নারী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, গত ১৫ আগস্ট তাকে সনজিব তার ধানমন্ডির বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আহতাবস্থায় কৌশলে তিনি বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং ধানমন্ডি মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারী মামলা করার পর আসামি সনজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।