ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ২ নং মধুহাটি ইউনিয়নের কান্তা গ্রামের হঠাৎ পাড়ার ওক্কাস আলীর ছেলে ধর্ষক মোস্তফা তারই প্রতিবেশী ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে,এরকমই অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত সোমবার ৪ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে ধর্ষক মোস্তফা পাশের বাড়ির নাবালিকা মেয়েকে ওড়না দিয়ে গলা ও মুখ পেচিয়ে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে,ঘটনা ধামা চাপা দেবার জন্যে অসহায় বালিকা মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের উপরে চাপ প্রয়োগ করছেন।
ধর্ষণের বিষয়ে সরেজমিনে ধর্ষক মোস্তফার বাড়ি যেয়ে ধর্ষক মোস্তফাকে পাওয়া যায়নি।
ধর্ষণের বিষয়ে কথা হয় মোস্তফার স্ত্রীর সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান আমি অসুস্থ মানুষ আমার স্যালাইন চলছিল এর মধ্যে আমার স্বামী পাশের বাড়ির মেয়েকে ডাক দেয় কিন্তু ধর্ষণ করেছে কিনা আমি সঠিক ভাবে বলতে পারব না,তবে গ্রামের মানুষ ও ওই মেয়ের পরিবারের ওরা সবাই বলে বেড়াচ্ছে আমার স্বামী মোস্তফা ওই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এই বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তারা জানান ঘটনা সত্যি এই মোস্তফা ওই মেয়েকে ডেকে এনে তারই নিজ বাসায় ওড়না দিয়ে মুখ ও গলা পেচিয়ে ধরে ধর্ষণ করেছে।
এই বিষয়ে ধর্ষিতার বাড়ি যেয়ে ধর্ষিতা, ও তার বাবা মা কাউকেই পাওয়া যায়নি, তাদের মেয়ে এখনো ঝিনাইদহ সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান, ধর্ষিতার আপন চাচা, চাচি ও ভাবির সাথে কথা হলে তিনারা জানান,আমরা গরিব মানুষ আপনারা এসেছেন তাই আমাদের উপরে হামলা হতে পারে,ওই মোস্তফা আমাদের সহজ সরল মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে আমরা কঠিন বিচার চাই।
ধর্ষিতার বিস্তারিত জানতে ঝিনাইদহ সদর হসপিটালের পাঁচ তলায় গাইনি ওয়ার্ডে যেয়ে জানা যায় আগামীকাল সরকারি ছুটি হবার কারণে নারী কনস্টেবল সিমা মজুমদার এর জিম্মায় ধর্ষিতাকে হসপিটাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,তবে যাবার আগে ধর্ষেণের আলামত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যে দিয়ে গেছেন।
এদিকে, জানা যায় গতকাল মধ্য রাত পর্যন্ত এই ধর্ষণের ঘটনাটি ধামা চাপা দেবার জন্যে স্থানীয় মেম্বর ও প্রভাবশালীরা সালিশ করেছেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ধামা চাপা দেবার পায়তারা চলছে। সমস্ত গ্রাসবাসী ও ধর্ষিতার পরিবারের সবাই এই ধর্ষক মোস্তফার ফাঁসির দাবি করেছেন। স্থানীয় জনগণের অনেকেই সাংবাদিকদের জানান,ধর্ষণের মতো ন্যাক্কার ঘটনার তড়িৎ বিচার হওয়া প্রয়োজন, আজ এই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কাল আমাদের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হবে,তাই এই ধর্ষক মোস্তফার কঠিন থেকে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।।