নারীঘটিত ঘটনার প্রতিবাদ করায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মীমাংসা করেন।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গতকাল রাতে ৩৩তম বিসিএসের নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তিনিও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা হারুনের ওপর হামলা চালান। পরে হারুন দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। পরে তিনি ফোর্স নিয়ে সেখানে যান এবং ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীকে না পেয়ে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ। তিনি ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীকে রক্ষা করেন। তাকে বাগে না পেলেও নাঈম ও মুনিমকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন এডিসি হারুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসা নিয়ে তারা হাসপাতাল ছাড়েন।
এদিকে পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন এডিসি হারুন। তিনি অলটাইম নিউজকে বলেন, ‘আমি এসবের কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময় আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলেও বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’
৩১তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা হারুন নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন। সূত্র জানায়, ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। বিষয়টি টের পেয়ে তার স্বামী ছাত্রলীগের দুই নেতাকে দিয়ে নজরদারি করাচ্ছিলেন। গতকাল রাতে তাদের একসঙ্গে দেখে হাতেনাতে ধরার পর ঘটনার সৃষ্টি হয়।