স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের নকলায় স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যকে কমিটির সভাপতি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩৫ সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার (১১সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের কাছে ৩৫ জনের সাক্ষরিত পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে যে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর সাক্ষরিত পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, ৮ নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ১৮ই মার্চ তারিখে। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর একটি পক্ষ পদ বঞ্চিত হয়ে সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় উভয়পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে চলে আসেন নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলন অনুষ্ঠানের ৬ মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এমরান হোসেনকে সভাপতি ও ছিয়াবুল বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। এই কমিটি ঘোষণা করার পর আবারও ক্ষোভ দেখা দেয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে। উক্ত কমিটি অনুমোদনের প্রতিবাদে স্থানীয় নারায়নখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় গত শনিবার বিকেলে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা। এতে বক্তাগন অভিযোগ করে বলেন যে, ঘোষিত কমিটির সভাপতি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য এবং তার পিতা পিস কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয় যে কমিটিতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অর্থ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএনপির লোককেও কমিটিতে স্থান করে দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন জানান, “যথেষ্ট যাচাই বাছাই করে যোগ্য দেরকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে।