নওগাঁ নিয়ামতপুর প্রতিনিধিঃ
তাল গাছ
এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে।
নওগাঁর নিয়ামতপুরের ঘুঘুডাঙার সেই তাল গাছ গুলো দেখলে মনে পড়ে যায়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট বেলার সেই তাল গাছ কবিতাটির কথা।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙার দুই কিলোমিটার তাল সড়ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুক্ত করছে নতুন মাএা। দুই কিলোমিটার এ তাল সড়ক এখন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে দর্শনীয় স্থান। এটি অবস্থিত নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার দুরে হাজিগনগরইউনিয়নের ঘুঘুডাঙা গ্রামে। ঘুঘুডাঙা- শিবপুর সড়কে অবস্থিত।এটি তালতলি নামেও বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে। সরা সরি নয়নাভিরা এ দৃশ্য দেখলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।
সড়কের দুপাশে প্রায় ছয় শতো তাল গাছ আছে। এ তালগাছ গুলো সড়কটিকে আরও সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।
এটি এক দিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে অন্যদিকে এ জায়গাটি পর্যটকদের কাছে এখন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। নির্মল বাতাস আর তালগাছের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে আসছেন
বিনোদনপ্রেমীরা।
পর্যটকদের বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। এছাড়া পানির জন্য নলকূপসহ টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। বিশেষ করে ছুটির দিন, ঈদ ও উৎসবের দিনগুলোতে পর্যটকদের বেশি আনাগোনা বাড়ে।
নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙা-শিবপুর সড়কটি ছিল মেঠোপথ। তাল গাছ গুলো রোপণ করেছিলেন একজন ভিক্ষুক যার নাম গহের আলি।
গহের আলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তাল গাছ গুলো বড়ো করে তুলেন যা বর্তমানে ভ্রমণ কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত পায়।(২০০৮ সালে বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে গহের আলীকে বিরল সম্মানে ভূষিত করা হয়) গহের আলী আজ বেঁচে নেই কিন্তু তার সৃতি ঠিক দাড়িয়ে আছে ঘুঘু ডাঙার তাল তলিতে।