নেশাখোর স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ কহিনুর বেগম(৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ(রামেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে। মৃত কহিনুর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের আমজাদের স্ত্রী।
ঘটনার বিবরন দিয়ে কোহিনুর বেগমের ভাই সুলতান জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে কোহিনুর এবং আমজাদ দুই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নেশার টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কহিনুরের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী আমজাদ আলী।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার সকালে তার পরিবারের লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করলে চিকিৎসা চলাকালীন আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিয়ে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, আমজাদ হোসেন একজন নেশা গ্রস্ত মানুষ তিনি তার স্ত্রী সন্তানদেরকে কোন সাহায্য সহযোগিতা করে না। মৃত কহিনুর অন্যের বাড়িতে কাজ করে সন্তানদের খরচ চালাতেন।
আমজান নিজে মিস্টির কাজ করে যা ইনকাম করে তা তার নেশা করতেই চলে যায়। আবার স্ত্রীর কাছ থেকেও টাকা চাই এই নিয়েই গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে পরিবারের লোকজন কহিনুরকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করলে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। আগুন ধরিয়ে দিয়ে সেই দিন থেকেই আমজাদ পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর আগুনে দগ্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালে মৃত কহিনুরকে ভর্তি করেছিলো। তবে এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।