1. [email protected] : maruf :
  2. [email protected] : shishir :
  3. [email protected] : talha : Md Abu Talha Rasel
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| শরৎকাল| সোমবার| দুপুর ১:৪৭|

বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে নলছিটিতে অধিক পরিমাণে বেড়েছে গাছের চারা বিক্রি।

তাইফুর রহমান,নলছিটি প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৪ Time View

ঝলোকাঠির নলছিটিতে বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে এসে গাছের চারা বিক্রির ধুম চলছে।অধিক পরিমানে বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। মূলত বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হওয়ায় ক্রেতারা তাদের পছন্দের গাছের চারাগুলো ক্রয় করে বাড়ির আশেপাশে ও বিভিন্ন ফলগাছের চাষীরা তাদের বাগানে চারাগুলো রোপন করে থাকেন।

নলছিটিতে সাপ্তাহিক হাট রবিবার ও বুধবার,উপজেলার সুগন্ধা নদীর তীর সংলগ্ন পুরনো ষ্টিমারঘাট এলাকায় গাছের চারাগুলো বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা নিয়ে আসেন । হাটের দিন ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে শতশত লোকের সমাগম ঘটে থাকে। বিক্রিও হয় লক্ষ টাকার গাছের চারা,জানিয়েছেন বিক্রেতা আলী আকবরসহ আরও কয়েকজনে।
তারা জানান, এখানে মূলত আম,আমড়া,কাঠাল,লেবু,পেয়ারা,মেহগনি ও চাম্বল গাছের চারা বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া কিছু ওষুধী গাছের চারাও পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছের চারা সর্বনিম্ন ৩০টাকা থেকে শুরু করে গাছের সাইজ অনুযায়ী তিনহাজার টাকায়ও বিক্রি হয়।
বিক্রেতা আকবর আলি জানান, নলছিটিতে সপ্তাহে দুইদিন হাট বসে আমি দুইদিনই গাছের চারা বিক্রি করি। প্রায় ত্রিশ প্রকারের চারা আমাদের কাছে রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধী,ফুল গাছের চারাসহ অন্যান্য সব ধরনের গাছের চারা আছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে চারা রোপন করলে চারা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে তাই ক্রেতারা মূলত এই সময়ে চারা ক্রয় করে থাকেন।
বৃক্ষ রোপন বৃদ্ধিতে উপজেলাব্যাপী কাজ করা সমাজকর্মী বালী তূর্য বলেন,আমরা গত কয়েক বছর যাবত প্রতি বছর অন্তত দশ হাজার গাছের চারা রোপনের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি,আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে এবং সামাজিক মাধ্যমেও প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বৃক্ষ রোপণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে তুলি,যাতে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
একজন ক্রেতা মিলন হোসেন জানান, নলছিটির এই হাট নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বিক্রেতারা নদী পথে চারাগুলো পরিবহন করেন যার কারণে চারাগুলো সতেজ থাকে। আমরাও ক্রয় করে নদী পথে পরিবহন করতে পারি। নদী পথে পরিবহনে ঝাকি কম হওয়ায় গাছের চারার গোড়ার মাটিগুলো শক্ত থাকে যার কারণে চারাগুলা রোপন করার পর মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তাই এখান থেকে আমার পছন্দের কিছু চারা ক্রয় করতে এসেছি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সহিদ উদ্দিন বলেন ,জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময় তাই এখানের হাটগুলোতে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে বনায়নের কোন বিকল্প নেই।আমাদের পক্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার হদুয়া এলাকায় প্রায় ১০কিলোমিটার এলাকায় গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। যেহেতু নলছিটির হাটের সব ধরনের গাছের চারা পাওয়া যায় তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি ফলজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021