রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার আরডিএ’র চেয়ারম্যান জিয়াউল হকের সাক্ষরিত এক পত্রে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
আরডিএ’র চেয়ারম্যানের সাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের কার্যালয়ের গত ১১ আগস্ট ৫৮.০৪.৮১০০, 126.02.012.23.5452 নং স্মারকে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী, শেখ কামরুজ্জামানকে বিজ্ঞ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ, রাজশাহী আদালত কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় দুদক রাজশাহীর ১-৬-২০২৩ তারিখের ৫ নং মামলায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মহানগর মানিলন্ডারিং ২/২০২২ নং মামলায় অন্তবর্তীকালীন হাজতের পরোয়ানামুলে ১০ আগষ্ট তারিখে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সোপর্দের বিষয়টি অবহিতকরণের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী টাউন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালা, ১৯৯১ এর প্রবিধি ৪৫ এর উপ-প্রবিধি (৫) অনুযায়ী তাকে কারাগারে অন্তরীণ হওয়ার তারিখ অর্থ্যাৎ ১০ আগষ্ট হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
তিনি বরখাস্তকালীন সময়ে প্রবিধানমালা মোতাবেক খোরাকী ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এরআগে গত ১১ সেপ্টেম্বর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানকে ও তার স্ত্রী নিশাত তামান্নাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হওয়া মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে রাজশাহী মহানগর দায়রা ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আশিকুজ্জামান আবেদন খারিজ করে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি মামলা রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে চলমান আছে। ৩০ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন ওই দম্পতির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের পৃথক মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ জুন কামরুজ্জামান বিরুদ্ধে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার এবং ২ জুন তার স্ত্রী নিশাত তামান্নার বিরুদ্ধে সমপরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক মামলা করে দুদক।