ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার নওদাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী জানাতুল হামিদা-৯ কে জোরপুর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করেন একই গ্রামের রওশন এর ছেলে লম্পট টিপু(৫০)। খোজ নিয়ে জানা গেছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় দিকে শিশু হামিদা তার শিশু সঙ্গীদের নিয়ে বাড়ির পাশে ডিপকলে গোসলের জন্য গেলে লম্পট টিপু কৌশলে হামিদার মুখ চেপে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে বিবস্ত করে ধর্ষনের চেষ্টাকালে শিশু হামিদার স্বরচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং টিপু পালিয়ে যায়। শিশু হামিদার পিতা মোঃ হামিদুল বিষটি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ রবিক এর সাথে কথা বলে থানায় আসেন। সারাদিন থানা চত্বরে ঘুরতে থাকলেও কোন অভিযোগ দিতে পারেননি। স্থানীয় সাংবাদিগন তৎপর হলে ঐ দিন রাত্র ১১ টায় সময় নাম মাত্র একটি অভিযোগ গ্রহন করেন কোটচাঁদপুর থাকা কর্তৃপক্ষ। ঐ দিন রাত ১২ টার পর পৌর কাউন্সিলর রকিব এর হস্তক্ষেপে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় দফারফা হয়। অভিযুক্ত টিপুর গরু বিক্রি করে উক্ত টাকা তুলে দেন রবিকের হাতে। যার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা হাতে পান শিশুর পিতা হামিদুল। এ বিষয়ে কথা বলা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসেন মে এর সাথে, তিনি বলেন ঘটনার দিনই আমি শুনেছি এবং কোটচাঁদপুর থাকার ওসি সাহেব কে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কথা বলা হয় শিশু জানাতুল হামিদার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান এর সাথে তিনি বলেন আমি শুনেছি ঘটনা সত্য হলে কঠিন বিচার হওয়া দরকার। তিনি বরো জানান ভুক্তভুগী ছাত্রী ২ দিন স্কুলে আসেনা। এ বিষয়ে কথা বলা হয় কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ মইন উদ্দিন এর সাথে তিনি জানান শিশুর পিতা একটি অভিযোগ করেছিল পরে তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এলাকায় অভিযোগ আছে কাউন্সিলর রকিব এক সময় বিএনপির ক্যাডার ছিলেন। এখন তিনি থানায় দালালী করে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে, মাদক ব্যবসা ও এলাকায় ঝামেলা বাদিয়ে পরে পুলিশের ভয় দেখিয়ে আপোষ মিমাংসার নামে অর্থ আদায় করে থাকেন।