ছোটবড় খানা খন্দ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে ঢোকার প্রবেশদ্বারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপজেলা সদরে ঢোকার উত্তরপাশের প্রবেশপথ ও বাজারের মধ্যে পানি জমে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারী ও ছোট বড় যানবাহন চালকদের। তাই সড়ক মেরামত ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থার দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরে ঢোকার উত্তর অঞ্চলের একমাত্র রাস্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা দুই সহদরের নামের সড়ক, শহীদ আহম্মদ-মহম্মদ সড়ক। এই সড়কে ছোটবড় খানা গর্ত হওয়ায় গত দুইদিনের স্বল্প বৃষ্টিতে পানি জমে পুকুরে পরিনত হয়েছে। আর তাই প্রতিনিয়ত সীমাহীন দূর্ভোগ পোয়তে হচ্ছে বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদরে আশা উত্তর অঞ্চলের ১২ থেকে ১৪ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের এবং উপজেলা মার্কেট ব্যবসাহীদের। উপজেলা সদরে প্রবেশের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়েই হাজারো পথচারী এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করছে। উপজেলা পরিষদের সামনের এই সড়কে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও খানা গর্ত হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে পুকুরে পরিনত হয়েছে।
এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে দাখিল মাদ্রাসা, কারিগরি কলেজ, বীরেন শিকদার স্কুল এন্ড কলেজ ও এতিখানাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষাথী। তাছাড়া প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় গোরস্তানেও আশা যাওয়া করেন শতশত মানুষ। তাদের পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাজারো কোমলমতি এই শিক্ষার্থীদের।
এই সড়কসহ বাজারের ভিতর মেইন সড়কে বিভিন্ন স্থানে তৈরী হয়েছে ছোটবড় গর্তের, ফলে স্বল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাঁদা-পানিতে পরিনত হয়। প্রয়োজন ছাড়া বর্ষা মৌসুমে বাইরের ক্রেতা বা বিক্রেতারা সদরে আসতে চায় না। যারা আসে তাদেরকে চরম দূর্ভোগ পোয়াতে হয়। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসাহীরাও। তাই পথচারীসহ ব্যবসাহীরা এই দূর্ভোগের সমাধানের দাবী করেন।
জানা যায়, উপজেলা সদরে একপাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও এই প্রবেশ পথের পানি নিষ্কশনের ব্যবস্থা নেই। তাই স্বল্প বৃষ্টিতেই উত্তর এলাকার হাজারো মানুষের সদরে ঢোকার প্রবেশপথ কাদা-পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে বাজারে ঢোকার এই রাস্তাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত দৃর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে হাজারো সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের।
উপজেলা পরিষদের সামনের মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষে ঔষুধ ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান জানান, উপজেলা সদরে ঢোকার প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে পুকুরে পরিনত হয়। ফলে বাইরের ক্রেতা বা বিক্রেতারা সদরে আসতে চায় না। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসায়ীরা। তাই এই দূর্ভোগ নিরাসনের জন্য কতৃপক্ষের কাছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থায় ড্রেনেজ দেয়ার দাবী করেন তারা।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, এই রোডটা উপজেলা প্রকৌশলীর নয়, এটা হচ্ছে হাইওয়ের। তাই আমাদের কিছু করার নেই। যদি উপজেলা প্রকৌশলীর হত তাহলে আমরা এর ব্যবস্থা নিতে পারতাম।