1. maruf.jhenaidah85@gmail.com : maruf :
  2. info@jhenaidah-protidin.com : shishir :
  3. talha@gmail.com : talha : Md Abu Talha Rasel
  4. : :
৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| বৃহস্পতিবার| সকাল ১১:৪৩|

চট্টগ্রামে বিশ্বের বৃহত্তম জশনে জুলুস গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পেতে চাচ্ছে ৮০লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে।

চট্টগ্রাম জেলার প্রতিনিধি সাহেদ হাসান তালুকদার
  • Update Time : শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৬৭ Time View

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দরুদ) উদযাপন উপলক্ষ্যে, লাখো মানুষের অংশগ্রহণে শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। ৫১তম এ জুলুসে (র‌্যালী) নেতৃত্ব দিয়েছেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরিফের হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মাঃজিঃআঃ)। প্রধান মেহমান ছিলেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া ছিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশীন পীর বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মাঃজিঃআঃ) ও বিশেষ মেহমান ছিলেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মাঃজিঃআঃ)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তাকবির, হামদ, নাতে রাসুল, গজল, জিকিরে মুখরিত হয়ে উঠে চট্টগ্রাম। জুলুস শুরুর আগে নগরীর ষোলশহর আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়ায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (দরুদ) জশনে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা এবং উপজেলার ভক্তরা আসতে থাকেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে। দেখতে দেখতে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। জামেয়ার বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্র, গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন শাখার কর্মীরা ঈদের খুশিতে মেতে ওঠেন। একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি, টুপি, পাগড়ি নজর কাড়ে সবার।জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হওয়া জুলুস বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ হয়ে, চট্টগ্রাম কলেজ, গণিবেকারি, খাস্তগীর স্কুল, আসকার দীঘি, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে শেষ হয়। এরপর মাহফিল ও যোহর নামাজের পর দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জশনে জুলুস এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। মানুষ চায় জুলুস বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পাবে। এটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পেলে চট্টগ্রামকেও সম্মানিত করবে।

এদিকে, জুলুস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে চট্টগ্রাম। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে তোরণ। সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফ্যাস্টুন। সড়কের দুপাশে বিশেষ পতাকাও পুঁতে দেয়া হয়েছে। বসেছে খাবারসহ বিভিন্ন আইটেমের অস্থায়ী দোকানও। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে স্বেচ্ছাসেবীরা বিতরণ করেছেন শরবত। পুরো এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কাজ করেছেন।
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মো. শামসুদ্দিন বলেন, ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল বাংলাদেশে প্রথম জুলুসের সূচনা হয় গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) এর দিকনির্দেশনায়। চট্টগ্রামের বলুয়ার দীঘির পাড় খানকাহ শরিফ থেকে আনজুমানের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নূর মোহাম্মদ আলকাদেরীর নেতৃত্বে জুলুসটি বের হয়েছিল। আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) চট্টগ্রামে জুলুসের নেতৃত্ব দেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি জুলুসে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। তখন থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাঃজিঃআ)। এটি তার নেতৃত্বে ৩৫তম জুলুস। গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের বাইরে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও তিন’শ আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ) জুলুসে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। এটি বিশ্বের বড় জুলুসে পরিণত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021