সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট ঝিনাইদহ হতে তিন বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি” কোর্স সম্পন্ন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ঝিনাইদহের ইন্টার্ন নার্স হিসাবে কর্মরত
কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশীপ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, শিক্ষা শাখার ০৭-০৮-২০২২ ইং তারিখে প্রকাশিত ১৮০ নং স্মারকে প্রশাসনিক অনুমতি পায়। যে প্রেক্ষিতে এ অধিদপ্তরের ২৯-০৯-২০২২ ইং তারিখে ৫২০ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি মঞ্জুরির জন্য DGNM (ডিজিএনএম) থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়। পরবর্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বাজেট অধিশাখা এর ১৩-১০-২০২২ ইং তারিখে ৭৯৪ নং স্মারক পত্রে চাহিত তথ্যাদি অধিদপ্তরের ২৬-১০-২০২২ ইং তারিখের ৬০১ নং স্মারক পত্রে প্রেরণ করা হয় এবং ২৬-০৭-২০২৩ ইং তারিখে উঘগ (ডিজিএনএম) থেকে ৩৬২ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি বরাদ্দ ও মঞ্জুরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত ইন্টার্ন স্যালারির জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। লগবুক এর ১৪ নং পৃষ্ঠার Code of Conduct, Rules and Regulation এর ১ নং পয়েন্টে ইন্টার্ন স্যালারির উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কোনো ইন্টার্ন স্যালারি পাচ্ছে না
বর্তমানে তাঁদের কোনো হোস্টেলের সুবিধাও নাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে ইন্টার্নশীপ করাটা তাঁদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও হাসপাতালে ফুল টাইম ডিউটি করে বাহিরে কোথাও কাজ করার ও সুযোগ থাকে না যার কারণে বাহিরে কোথাও কাজও করতে পারে না। এছাড়াও অনেক পরিবার মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, যেখানে তাদের দিনাতিপাত করাই কষ্টসাধ্য হচ্ছে সেখানে সন্তানের ইন্টার্নশীপ চলাকালীন খরচ চালানোর জন্য মাসে ৮-১০ হাজার টাকার ভার বহন করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় ইন্টার্ন স্যালারি বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত , সারা বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা ও সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল ইন্টার্ন নার্সদের পাশাপাশি “ইন্টার্ন নার্স, জেলা সদর হাসপাতাল ঝিনাইদহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করছে।