৫ই অক্টোবর ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বুয়েটের শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বুয়েট প্রশাসন, শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের কৃতজ্ঞতা জানাই দেরিতে হলেও এরকম কিছুর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এই কাজে অর্থযোগান দেবে বলে জানিয়েছে ইতোমধ্যে।
এখন চাওয়া অতি দ্রুত সম্পূর্ণ স্মৃতিফলকের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। ভবিষ্যতে যেন আর এমন কোনো স্মৃতিফলক এই ক্যাম্পাসে করার প্রয়োজন না হয়, সেটাই আমাদের সবার কামনা।
উল্লেখ্য এই যে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে ঠিক, কিন্তু তার মৃত্যু ঘটেনি। তার নাম এখন আরও জীবন্ত। আবরার জীবন্ত রাজনীতিতে, আবরার জীবন্ত নিপীড়িতের ফরিয়াদে। যার নাম আগে কেউ জানত না, সে এখন প্রতিবাদ ও দেশপ্রেমের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। নিপীড়িতরা এভাবেই তাদের বীর, তাদের নায়কের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখে। সামান্য মানুষ যখন অসামান্য প্রতীকে পরিণত হয়, তখন তাকে আর দমানো যায় না। এমন প্রতীককে ক্ষমতার ডাস্টার দিয়ে মোছাও যায় না। যে আপনার কে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল কিছু কুচক্রী মহল কিন্তু সেই আবরার আজ কোটি কোটি মানুষের অন্তরে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ (রাব্বী) হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) চূড়ান্ত হয়েছে। আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন। চার্জশিটে যাঁদের নাম আসছে তাঁরা বুয়েটের ছাত্র ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
পরবর্তীতে বুয়েট এর শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করছেন আদালত।
এতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবৎজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত।
এদিকে আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কযা ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদ জামে মসজিদ নির্মাণাধীন।