ঝিনাইদহঃ ভালোবাসার বহু নজির পৃথিবীতে আছে । তবে তা হয়ে থাকে সাধরাণত স্ব-জাতিতে । কিন্তু পাখি ও মানুষের এমন ভালোবাসা সত্যিই বিরল ঘটনা । সন্তানের মতো বড় হচ্ছে সান ও এলেক্স । এই সান-কুনুড় জাতের উত্তর আমেরিকার জোড়া টিয়ার পিতা-মাতা হয়েছে ঝিনাইদহহের এক দম্পতি । এমন বিরল ঘটনা সত্যিই যে কেউ অভিভূত না হয়ে পারবে না । জানাযায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রামের আক্তারুজ্জামান-ফারিয়া দম্পতির বাড়ি । বাড়িতে ঢুকেই আকস্মিক ঘটনা দেখে থমকে যেতে হয় । উত্তর আমেরিকার
টিয়া পাখি সান-কুনুড় জাতের । পাখি দুটির মা-বাবা হয়েছে তারা। পরম মমতায় বেড়ে উঠছে জোড়া টিয়া । ভালোবেসে নাম দেওয়া হয়েছে সান ও এলেক্স । এ গাছ-ও গাছে যাচ্ছে আবার তাদরে মা ফারিয়া ডাকা মাত্র ফুড়–ৎ করে উড়ে চলে আসছে । কখনও তার গাড়ে, কখনও তার মাথায় আবার কখনওবা হাতে সময় কাটাচ্ছে তারা । মাত্র ৮ মাস বয়সী সান-এলেক্সকে নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান পুরো গ্রাম । এমন আশ্চর্যজনক ভালোবাসা দেখে সবাই থমকে যায় । মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে আক্তারুজ্জামান । তার কম্পিউটারের নিজস্ব দোকান আছে ঝিনাইদহের নগরবাথান বাজারে । সখের বশে তিনি পাখি পোষেন । গত ৮ মাস আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে মাত্র ২৪ হাজার টাকা দিয়ে এক জোড়া সান-কুনুড় জাতের টিয়া কিনেছিলেন । তখন তাদের চোখ ফোটা-ফোটা ভাব । সেই থেকেই তাদের সাথে খায়, ঘুরে বেড়ায়, গোসল করে এ জোড়া টিয়া ।
আক্তারুজ্জামান বলেন, ওদের ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ । ওরা আঙ্গুর, আপেল এমনকি ভাতও খায় । আবার ঘুমায়ও আমাদের সাথে । সকাল থেকে রাত অব্দি চলে বহু কিছু ।
গ্রামের কামাল মিয়া জানান, ঘটনা সত্যিই বিরল । আমাদের এখানে এই প্রথম দেখলাম । অবাককর ঘটনা । অবলা জীব পাখি কিভাবে সন্তানের মতো ভালোবাসছে মানুষকে । এই হানাহানির যুগে এমন ভালোবাসা দৃষ্টান্ত । আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী ফারিয়া আক্তার রিয়া জানান, ওরা আমার ভাষা বোঝে । কথার আকার ইঙ্গিতও বোঝে । ওরা আমার সন্তান । ওদের ছাড়া যেমন আমি থাকতে পারি না তেমনি ওরাও আমাদের ছাড়া থাকতে পারে না । বেশিরভাড় সময় ওরা আমার হাতে, মাথায়, ঘাড়েই সময় কাটায় । আমি ওদেরকে মায়ের আদর-ভালোবাসা-স্নেহ দিয়ে বড় করছি ।
এই দম্পতির আরো ৪ জাতের ২০টি বিদেশি টিয়া পাখি রয়েছে ।