এস.এম রবি,ঝিনাইদহ
তিন ভাইয়ের আদুরে এক বোন রিফাত জাহান চাঁদনি (২২) পারিবারিক ভাবে মাত্র দু-বছর আগে জীবননগর উপজেলার মারুফদহ গ্রামের শাহ্ জাহান আলী তার মেয়ে চাঁদনি কে বিয়ে দিয়ে ছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গুড়দাহ গ্রামের মোঃ আশরাফুল মন্ডলের ছেলে মসিউর রহমান (৩৪) সাথে, বিয়ের পর পরই নতুন জামাইয়ের চাপে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে দেন পালসার মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার ছ’মাস পর মসিউর মোটরসাইকেলটি গোপনে বিক্রি করে দেন, মোটরসাইকেল কোথায় স্ত্রী চাঁদনি জানতে চাইলে মসিউর তাকে জানান মোটরসাইকেল পুলিশে ধরেছে ছাড়াতে ১৫ হাজার টাকা লাগবে, চাঁদনি তার বাবাকে ফোন করে ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন, ১৫ হাজার টাকা মসিউরকে দেওয়া হলেও ঘরে আসেনা মোটর সাইকেল, বাপের কিনে দেওয়া মোটরসাইকেলের প্রতি বিশেষ দরদ ছিলো চাঁদনি’র, বাপের বাড়ি মোটরসাইকেলে চড়ে যাবে এমন আবদার স্বামীর নিকট ছিলো রোজ,কিন্তু বিক্রি করে দেওয়া মোটরসাইকেল আনতে পারছেনা মসিউর, এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় সাংসারিক অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে এই দম্পতি, প্রায় স্ত্রী চাঁদনিকে মারধর করে স্বামী মসিউর, পারিবারিক ভাবে কয়েকবার মসিউর কে থামানোর চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় চাঁদনি’র পরিবার! এর মধ্যেই ব্যবসার কথা বলে চাঁদনি’র মায়ের কাছ থেকে কয়েক দফায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মসিউর, একমাত্র মেয়ে হওয়ায় চাঁদনি’র ব্যাপারে কোন আপত্তি করেননি তার মা!
চাঁদনি’র মেজো ভাই আল মামুন হাসান জানান, সম্প্রতি চাঁদনি’র নামে মসিউর সোনালি লাইফ ইনসুরেন্সে ২০ লাখ টাকার একটি পলিসি খুলে ছিলো চাঁদনি’কে হত্যা করে দূর্ঘটনায় মৃত্যু দেখিয়ে ঐ টাকা আত্মসাৎ এর একটা প্লানছিলো মসিউরের, আল মামুন আরো জানান,
সর্বশেষ ১০/১২/২৩ তারিখ আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে আমার বোন ফোন করে খুব কান্নাকাটি করে, কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে জানাই মসিউর তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে, পর দিন ১১/১২/২৩ তারিখ আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে মসিউরের ফোন থেকে মসিউরের এক বন্ধু আমাকে জানাই চাঁদনি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে, এরপর আমরা পরিবার সহ মসিউরের বাড়ি পৌছায় এবং মেঝেতে বিবস্ত্র অবস্থায় আমার বোনের মৃতদেহ দেখতে পায়! তার সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিলো, এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শামীম উদ্দিন জানান, অভিযোগের ৩০ মিনিটের মধ্যে অভিযুক্ত স্বামী মসিউর কে গ্রেফতার করেছে মহেশপুর থানা পুলিশ, মহেশপুর থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে যার মামলা নং ১২।
মসিউর কে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।