আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রথমবারের মতো বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্সে চার হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সোনার দাম ৫১ শতাংশ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনা বেড়ে যাওয়া, স্বর্ণনির্ভর এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা এবং খুচরা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ— এসব কারণে সোনার দাম এমন উল্লম্ফন করেছে। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিশ্ব অর্থনীতির ধীরগতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদ কমার সম্ভাবনার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, কম সুদের হার ও অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশে সোনার দাম সাধারণত বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে সোনা একটি নির্ভরযোগ্য রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের কারণে সরকারি অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপ অনুমান করার চেষ্টা করছেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, আগামী ২৮-২৯ অক্টোবর ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ১ চতুর্থাংশ পয়েন্ট কমাতে পারে।
স্করপিয়ন মিনারেলসের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মাইকেল ল্যাংফোর্ড বলেছেন, মার্কিন ডলারের মান আরও কমতে থাকলে আগামী ছয় মাসে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪ হাজার ৩০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসও ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের জন্য সোনার দাম ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৪ হাজার ৯০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সেপ্টেম্বরে টানা একাদশ মাসের মতো রিজার্ভের জন্য সোনা কিনেছে।
গোল্ড প্রাইস ডট অর্গের তথ্যানুসারে, গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, গত ছয় মাসে ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ এবং চলতি বছরে ৫১ দশমিক ৫২ শতাংশ।