এস.এম রবি,
গত ৬ মাসে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৭১ জন। এরমধ্যে বেশির ভাগই মারা গেছেন অবৈধ যানবাহনের কারণে।
পুলিশ ও পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত ৬ মাসে ১৭ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৫ জন, কোটচাঁদপুরে ১৪ জন, মহেশপুরে ১১ জন, শৈলকুপায় ১২ জন ও কোটচাঁদপুরে ২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় সবচে বেশি ১৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে কোটচাঁদপুরের কাশিপুর নামক স্থানে। ঘটনার দিন কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের রুবেলের স্ত্রী রিমা খাতুন ডাক্তার দেখাতে কোটচাঁদপুর যান। তার সঙ্গে ছিল সন্তান রাফান ও শাশুড়িসহ দুই শিশু। পথের মধ্যে ফল ব্যবসায়ী আল-আমিন ইঞ্জিন চালিত ওই ভ্যানের যাত্রী হন। তারা কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের কাশিপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ তিনজন এবং পরে যশোর হাসপাতালে দুজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসীকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার কয়ারগাছি স্থানে আব্দুর রাকিব ও শাকিল, কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে স্বামী ছাবদার হোসেন ও স্ত্রী পারভিনা খাতুন, সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে ইমন ও আজিম, সদর উপজেলার আটলিয়া গ্রামে রিংকী খাতুন ও সাজেদুল ইসলাম, কালীগঞ্জের পিরোজপুর বটতলায় আবুল কালাম, শরীফা খাতুন ও অরো দাস এবং একই উপজেলার বেজপাড়া নামক স্থানে উজ্জল শেখ ও আমানুর রহমান ।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে শুধু পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের সবাইকে একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ঝিনাইদহ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ সচেতনতাকূলক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তার দপ্তর প্রতি মাসেই চালকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।