Connect with us

top1

আমি তার জন্য আনন্দিত হব: ‘সমাজতান্ত্রিক’ মেয়র মামদানির সঙ্গে বৈঠকে প্রশংসায় ট্রাম্প

Published

on

বৈঠকে মামদানিকে আক্রমণ করা তো দূরের কথা, উল্টো ট্রাম্প তাকে একাধিকবার প্রশংসা করে বলেন, ‘মামদানি সত্যিই একজন “চমৎকার মেয়র” হবেন। আমি আত্মবিশ্বাসী যে তিনি [মামদানি] খুব ভালো কাজ করতে পারবেন।’

হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি।
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির মধ্যকার বৈঠকটি নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। হোয়াইট হাউসের এই বৈঠকটিকে বছরের অন্যতম বড় ‘রাজনৈতিক সংঘাত’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে সংঘাতের বদলে ওভাল অফিসে দেখা গেল প্রশংসার বন্যা।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি ট্রাম্পকে ‘স্বৈরাচার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। অন্যদিকে, শুক্রবারের এই বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মামদানির সফরকে ‘হোয়াইট হাউসে একজন কমিউনিস্টের আগমন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

কিন্তু ওভাল অফিসে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এই দুই ব্যক্তি বিস্ময়করভাবে আপসকামিতার সুর তুললেন।

বারবার তারা উভয়েই নিউইয়র্ক সিটির জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থের ওপর জোর দেন। তাদের প্রায়ই হাসতে দেখা যায় এবং মামদানির আগের রাজনৈতিক আক্রমণগুলো নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ট্রাম্পকে বেশ আমোদপ্রবণ মনে হয়েছে।

বৈঠকের এই আবহাওয়া রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের হতবাক করে দিয়েছে। তবে এটি একটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, উভয় নেতাই বুঝতে পারছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলা করা তাদের রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ১ জানুয়ারি মামদানি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ‘যুদ্ধবিরতি’ কতদিন টিকবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি তার (মামদানির) জন্য আনন্দিত হবো ।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *