top3

ইসরায়েলে চাপ বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কূটনৈতিক পদক্ষেপ

Published

on

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে, যাতে স্থানীয় ঐক্য সরকার গঠন দ্রুত হয় এবং ফিলিস্তিনি ইস্যুতে সমাধানের জন্য নির্ধারিত অগ্রগতি হয়। আল জাজিরার এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর তার প্রভাব বাড়াতে নানা রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করছে, যা অনেকটাই ‘আমেরিকার ৫১তম রাজ্য’ উপমার মতো।

২০২৫ সালের মধ্য থেকে আমেরিকা ইসরায়েলকে আরও বেশি কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্ররা উল্লেখ করেছেন, তারা ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বাধ্য করতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “ইসরায়েল আমেরিকার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও, শান্তির জন্য কঠোর পরিবর্তন অপরিহার্য।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের গভীর রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্য দিয়ে মার্কিন মার্কিন প্রচেষ্টা ইসরায়েলে একটি মধ্যপন্থী সরকার গঠনে সহায়ক হতে পারে। তবে দেশটির সংশোধিত নিরাপত্তা নীতি এবং অধঃপতিত ভূখণ্ডের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ইসরায়েল কতটুকু চাপ নিতে রাজি হবে, তা এখনো অজানা।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা এই পদক্ষেপকে ‘ভ্রান্ত’ এবং ‘নামমাত্র শান্তি প্রচেষ্টা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা দাবি করেছেন, মার্কিন চাপ কেবল ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষার জন্য, ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কিছু অংশ মার্কিন এই রূঢ় নীতিকে সমালোচনা করলেও, কিছু রাষ্ট্রের মতে, ইসরায়েলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই ধরনের চাপ প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী কয়েক মাসে এই চাপ কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।

২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মার্কিন ও ইসরায়েলি সম্পর্ক ও ফিলিস্তিনি ইস্যু নিয়ে এরকম নতুন মাত্রা যোগ হওয়ায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তেজনা ও আশার মিশ্র অনুভূতি বিরাজ করছে। আগামী দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে রাখবে।

সূত্র: আল জাজিরা প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশ্লেষণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version