ঢাকা, ৩ নভেম্বর ২০২৫ — আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন, জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের চার শীর্ষ নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান, এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী।
১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর, এই চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যে, ৩ নভেম্বর ভোরে কারাগারের নিরাপত্তাবেষ্টিত পরিবেশে তাদের হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসে দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই হত্যার পেছনে তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ, এবং শেখ মুজিবের খুনি কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান ও লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ জড়িত ছিলেন। তাদের নির্দেশে রিসালদার মুসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি ঘাতক দল গঠন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর, তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
২০০৪ সালে বিচারিক আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
২০১৫ সালে আপিল বিভাগ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে, যেখানে আদালত উল্লেখ করে—“জেল হত্যাকাণ্ড ছিল একটি প্রমাণিত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র।