ঢাকা- রাজধানী ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশে অংশ নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
সমাবেশের মূল দাবিগুলো
১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য সাংবিধানিক আদেশ জারি এবং নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনুপাতিক প্রতিনিধি (PR) পদ্ধতি চালু।
৩. অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
৪. পূর্ববর্তী সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
দুপুর থেকে রাজধানীর পল্টন এলাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, সমাবেশে ১২-১৫ লাখ মানুষের উপস্থিতি হতে পারে। মঞ্চ হিসেবে দুটি ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমসহ শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখছেন। তারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দাবিগুলো মানা না হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে অনুপাতিক প্রতিনিধি পদ্ধতির দাবি রাজনৈতিক কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।