দফায় দফায় ভূমিকম্পে আতঙ্ক বাড়ছে। শিক্ষাঙ্গনের আবাসিক হলগুলোতে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে আতঙ্কে রাতভর হলের বাইরে অবস্থান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কিছু শিক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। আজ (রোববার, ২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
৩১ ঘণ্টায় তিন দফা ভূমিকম্প। আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, নিরাপদ আবাসিক হলের দাবি জানায় তারা।ভূমিকম্পে আবাসিক হল ক্ষতির শঙ্কায় আতঙ্ক ও সংস্কারের দাবিতে হলের সামনে রাস্তায় রাত্রিযাপন করে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কিছু শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও হল নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি ছেলেদের তিনটি হলে ও মেয়েদের তিনটি হলে থাকার কোনো অবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের যে মাঠ আছে সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে চারটি হল ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে।
এদিকে ভূমিকম্প ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তা নিরীক্ষা প্রয়োজন। তাই ১৪ দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।তবে ঢাবি প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাতেই তিন দফা দাবি নিয়ে ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীদের একাংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছেড়ে দিতে হবে এটিকে যেন শিথিল করা হয়। তারা হঠকারী সিদ্ধান্ত মানবে না, এর স্থায়ী সমাধান চায় তারা। ভূমিকম্পসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনায় ডাকসু প্রতিনিধিদের নীরবতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা। দ্রুত নিরাপদ আবাসন নিশ্চিতের দাবিও জানান তারা।