top1

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির শাহিন সিকদারের বহিষ্কারাদেশ বহাল, ভুলবশত হয়েছিল: রিজভী

Published

on

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ২৬ নভেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলের বিভিন্ন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আরেকটি সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দলটি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ফরিদুল হক (শাহীন সিকদার) এবং খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান পিয়ারু–এর বহিষ্কারাদেশ বহাল রয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ওই সংশোধনী বিজ্ঞপ্তিতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষর করেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়—ভুলবশত প্রকাশিত আগের বিজ্ঞপ্তিতে এই দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের তথ্য ছিল, যা সঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করার জন্য জানানো হচ্ছে যে তাদের বহিষ্কারাদেশ বহাল ও কার্যকর রয়েছে।ঘটনাটি ভূরুঙ্গামারী ও খুলনা—দুই অঞ্চলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “দলীয় সিদ্ধান্তে এ ধরনের ভুল ঘোষণা দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ হওয়ায় পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়েছে।”

ভূরুঙ্গামারীর সাধারণ জনগণ ও দলীয় সাধারণ কর্মীরা বিষয়টিকে ভিন্ন ভিন্নভাবে দেখছেন।এক স্থানীয় বাসিন্দার ভাষায়, “শাহীন সিকদার বহুদিন ধরেই রাজনীতিতে সক্রিয়। আচমকা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার—আবার তা বাতিল হওয়া—মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে।”

অন্য এক তরুণ কর্মী বলেন, “দলের ভেতর সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য থাকা জরুরি ছিল। সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল ঠিকটাই করেছে।”

এদিকে অনেকেই মনে করছেন, দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থার প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version