ঢাকা, ৪ নভেম্বর ২০২৫- ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার পর দেশ ব্যাপী দলীয় সহিংসতায় কিছুটা পানি ঢাললেন দলের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাকর্মীদের সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ ও প্রকাশ্য সংঘর্ষের ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “যারা মনোনয়ন পাননি, বিশ্বাস রাখুন—ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে।”
তিনি আরও জানান, ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে তাকে মনোনীত করায় তিনি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দলের প্রতিটি কর্মীর প্রতিও তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাজনীতিতে নিজের দীর্ঘ পথচলার স্মৃতিচারণ করে ফখরুল লেখেন, “এ নির্বাচন আমার শেষ নির্বাচন!” তিনি বলেন, “আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের সবারই একটা গল্প আছে।” তিনি ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্তের সময়ের পারিবারিক পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন। দলের অভ্যন্তরে মনোনয়ন নিয়ে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা প্রশমিত করতে ফখরুল বলেন, “আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করবেন। আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।” এদিকে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে (দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭, ফেনী-১) এবং তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফখরুল নিজে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন না পাওয়া অনেক সিনিয়র নেতাকে নির্বাচনী সমন্বয় ও প্রচার ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপি পুরনো ও নতুন মুখের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্রার্থী তালিকা গঠন করেছে, যাতে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি চাইলে আমি এই প্রতিবেদনটি বাংলা বা ইংরেজি সংবাদপত্রের জন্য উপযুক্তভাবে সম্পাদনা করে দিতে পারি। কীভাবে সাহায্য করতে পারি?