আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরার খবর মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে বুধবার (২৯ অক্টোবর) গাজার বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা চালানো হয়।
হামলার পরপরই হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তারা জানায়, ইসরায়েলের উস্কানিমূলক আগ্রাসন চলতে থাকলে গাজায় মৃতদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে এবং বাকি ১৩ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার বিলম্বিত হতে পারে।
এক বিবৃতিতে তারা বলে, রাফাহ সীমান্ত এলাকায় বন্দুক হামলায় এক ইসরায়েলি সৈন্য আহত হওয়ার পরপরই এ হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু।
হামাস জানিয়েছে, রাফাহতে সংঘটিত ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, ছোটখাটো সংঘর্ষ হতে পারে, তবে আমি মনে করি যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে। আমরা জানি, গাজায় একজন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়েছে। ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানাবে, এটা স্বাভাবিক। তবু শান্তি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করি।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি গাজার মানুষের কাছে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানোও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হচ্ছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এ নতুন হামলা যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা চুক্তি মেনে চলেছি, তাই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।