জাতীয়

১৮ বছর সংসারের পর তালাক, দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী

৮ বছর সংসার করার পর স্ত্রীর পাঠানো তালাকনামা হাতে পেয়ে ‘পাপমুক্তি’ হয়েছে দাবি করে গরুর দুধ দিয়ে গোসল করেছেন শেরপুরের পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি।আর এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে জেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বুধবার (২৫ জুন) বিকালে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মধ্য কুমড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।দুধ দিয়ে গোসল করা ওই ব্যক্তির নাম ফজল মিয়া (৫০)। পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি মধ্য কুমড়ি গ্রামের মৃত আক্রাম হোসেনের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজল মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ময়না বেগমের বিয়ে হয় প্রায় দেড় যুগ আগে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। ইতোমধ্যে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কয়েক মাস ধরে স্ত্রী ময়না সংসারে টানাটানি থাকায় প্রথমে শেরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়ার কাজ নেন। পরে স্বামী ফজল মিস্ত্রিকে বুঝিয়ে ঢাকায় একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর যাবত স্বামীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।বিষয়টি নিয়ে ফজল মিয়ার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চলছিল। বিষয়টি তীব্র হলে ময়না বেগম এক সন্তান রেখে ঢাকা থেকেই তিনি তালাকনামা পাঠিয়ে দেন। তালাকনামা পেয়ে ফজল মিয়া বাজিতখিলা বাজারে শত শত মানুষের সামনে বালতিতে গরুর দুধ দিয়ে গোসল করেন এবং বলেন ‘পাপমুক্ত’ হলাম ।পরে সাংবাদিকদের কাছে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বলেন, ১৮ বছর ভুল মানুষের সঙ্গে সংসার করেছি; তাই দুধ দিয়ে গোছল করেছি।তিনি আরও বলেন, কোনো পুরুষ মানুষ যেন স্ত্রীকে একা কখনো ঢাকায় কাজের জন্য না পাঠায়।ফজল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বুধবার ময়নার তালাকনামা হাতে পেয়েছি।বাজিতখিলা ইউনিয়নের মেম্বার রুবেল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় কাজে যাওয়ার পর থেকে ফজলের সঙ্গে ময়না বেগমের যোগাযোগ ছিল না বলে শুনেছি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। পরে ময়না বেগম বুধবার ফজলের কাছে তালাকনামা পাঠান। তালাকনামা হাতে পেয়ে ফজল দুধ দিয়ে গোসল করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version